চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ১৩
১২ জুলাই ২০১৮ ১৬:১৫ | আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ১৬:৪৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ঢাকায় উচ্চপদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের মূলহোতাসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- সানলাইট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান তালুকদার ওরফে আল আমিন, পরিচালক খন্দকার আলমগীর হোসেন ওরফে মাছুম ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল হক ওরফে শাহজাহান মিয়া, সৈয়দ সাহারিয়ার সোহাগ ওরফে আবু শাফি তালুকদার, সানলাইট গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালেদ মাহামুদ ওরফে সবুজ মিয়া, সহকারী রহমত উল্লাহ সৌরভ, হাফিজুর রহমান আল মামুন ওরফে মামুন লস্কর, ইনছান আলী, সিরাজুল ইসলাম, নাদিম উদ্দিন, মেহেদি হাসান, হানিফ কাজী ও মামুনুর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দুপুর ১২টায় সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এই চক্রটি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণার উদ্দেশে করপোরেট এলাকায় অফিস খুলে তাতে চোখ ধাঁধানো ডেকোরেশন করতো। যেন চাকরি প্রত্যাশীরা সহজেই তাদের বিশ্বাস করে। তারা কিছু ওয়েবসাইট ও প্রিন্ট ও ইলেকট্টনিক্স মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে আকৃষ্ট করে চাকরি প্রত্যাশীদের। এসব বিজ্ঞাপন দেখে চাকরি প্রার্থীরা তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ইন্টারভিউয়ের জন্য ঢাকায় ডাকে।’
একপর্যায়ে তারা চাকরি হয়ে গেছে জানিয়ে সিকিউরিটি মানি, পেনশন স্কিম ও ব্যক্তিগত গাড়ি দেওয়ার নামে তিন থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে নেয়। চাকরিপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট দিনে যোগদান করতে গিয়ে দেখেন প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ। তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে কল করলে ফোন বন্ধ পায় তারা। এভাবে তারা ৫০ জনের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ চক্রটি, বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মোল্লা নজরুল বলেন, ‘তিন চার মাস পরপর তারা অফিস পরিবর্তন করে নতুন নামে অফিস খুলে বসে। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ফরচুন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, রেক্সন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ইস্টার্ন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, কেয়া গ্রুপ কোম্পানিজ, নেক্সাস গ্রুপ অব কোম্পানিজ, সানলাইট গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ম্যাক্স ভিশন গ্রুপ অব কোম্পানিজ নামে বহু মানুষকে প্রতারিত করেছে। সর্বশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং ১১ মার্চ দৈনিক প্রথম আলোতেও প্রতারণকারীরা বিজ্ঞাপন দেয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা, গুলশান ও পল্টন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সিআইডিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর তদন্ত শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
সারাবাংলা/ইউজে/এমও