Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন শিশু অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন


১২ জুলাই ২০১৮ ১৬:৩১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বাংলাদেশে ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন শিশু অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এর মধ্যে গ্রামে প্রতি ১০ হাজারে ১৪ জন এবং শহরে প্রতি ১০ হাজারে ২৫ জন শিশু অটিজমের বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। দেখা গেছে, আক্রান্ত শিশুর মধ্যে মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেশি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রথম এবং একমাত্র ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের (ইপনা) করা দেশজুড়ে পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এই জরিপ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় জরিপ জানান কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ব্লক অডিটোরিয়ামে ইপনা আয়োজিত ডেসিমিনেশন প্রোগ্রাম অন ন্যাশন-ওয়াইড সার্ভে অন ইয়ং চিলড্রেন উইথ অটিজম স্প্রেকট্রাম ডিজঅর্ডার ইন বাংলাদেশ-২০১৭ শীর্ষক এই জরিপের ফলাফল জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করে ইপনা’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার বলেন, অটিজম শব্দটি এখন আর অপরিচিত না হলেও অটিজম সংক্রান্ত সঠিক পরিসংখ্যান এতোদিন ছিল না। এটি দেশের সবচেয়ে বড় জরিপ।

জরিপ নিয়ে প্রারম্ভিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইপনার রিসার্চ মেডিকেল অফিসার ডা. জান্নাত আরা শেফা। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের ৮টি বিভাগের ৩০টি জেলার ৮৫টি এলাকা চিহ্নিত করে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী মোট ৩৮ হাজার ৪৪০ শিশুর ওপর পরিচালিত এই জরিপে স্ক্রিনিং টুল হিসেবে প্রথমে ‘রেড ফ্লাগ’ পরে ‘এম-চ্যাট’ এবং সব শেষে ‘ডিএসএম-ফাইভ’ ব্যবহার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইপনাকে এ ধরনের বড় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যেহেতু জরিপে সংখ্যা বেড়েছে, তাই এ বিষয়ে সচেতনতাও আরো বাড়াতে হবে। অটিজম ও অন্যান্য স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যায় আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সুরক্ষায় সরকার দু’টি আইন করেছে। এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত হারকে ভিত্তি করে ভবিষ্যতে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সেবায় সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া সম্ভব হবে।

সভপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, অটিজম নিয়ে অনেক পরে কাজ শুরু করেও আমরা এখন অনেক এগিয়ে আছি। ভবিষ্যতে একদিন এই সেক্টরে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। একইসঙ্গে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সেবায় ইপনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় পাশে থাকবে এবং সব ধরনের সহায়তা দেবে।

ইপনা তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অটিজম ও অন্যান্য স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় সেবা ও পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি উচ্চতর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, আইসিডিডিআর,বি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, সূচনা ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারপার্সন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান।

সারাবাংলা/জেএ/এটি

বিজ্ঞাপন

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

অটিজম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর