Friday 14 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে অস্পষ্টতা আছে: আখতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ নভেম্বর ২০২৫ ২০:২২ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ২১:৩৭

সংবাদ সম্মেলনের এনসিপি নেতারা

ঢাকা: জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশে অস্পষ্টতা ও ব্যাখ্যার সুযোগ রেখে সরকার এটি জারি করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির দাবি, অস্পষ্ট ধারাগুলো ক্ষমতাসীনদের নিজস্ব মত অনুযায়ী সনদের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগে সুযোগ করে দেবে।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের বহু জায়গায় অস্পষ্টতা রয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম সরকার স্পষ্টভাবে জানাবে কীভাবে সনদটি বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু আদেশে এমন অস্পষ্টতা রাখা হয়েছে, যা পূর্ণ বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে।’

বিজ্ঞাপন

আখতার হোসেন বলেন, গণভোটকে বিভিন্ন খণ্ডে বিভক্ত করা হয়েছে, যেখানে সব সংস্কারকে সমান গুরুত্ব না দিয়ে কিছু বিষয়কে রাজনৈতিক দলের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ এবং ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকবে কি না—এসব বিষয়ে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘গণভোটে ‘অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান’ বলতে কোন প্রতিষ্ঠান বোঝানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। দুদককে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান করার বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও আদেশে তার উল্লেখ নেই।’

এনসিপি নেতা জানান, উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিদের তালিকা প্রকাশ না করার বিষয়টি আদেশে রাখা হলেও ভবিষ্যৎ নির্বাচন থেকে তালিকা প্রকাশ বাধ্যতামূলক হবে কি না—তা উল্লেখ নেই। একইভাবে ঐকমত্য কমিশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া ১০ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয়েও সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আস্থা ভোট ও অর্থনৈতিক বিল বাদে অনুচ্ছেদের অন্যান্য অংশ সংশোধনে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছিল, কিন্তু আদেশে তা রাজনৈতিক দলের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন প্রশ্ন তোলেন, গণভোটে জনগণ মতামত দিলে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিষয়েও রাজনৈতিক দলকে নিজস্বভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলো কেন।

তিনি বলেন, পূর্ববর্তী প্রস্তাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের বিধান কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন আদেশে ১৮০ দিনের সময়সীমা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে পরিণতি কী হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি।

এনসিপির দাবি, আদেশটি এমনভাবে করা হয়েছে যাতে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের মতো করে এর ব্যাখ্যা দিতে পারেন। আখতার হোসেন বলেন, ‘সরকার দ্রুত এসব অস্পষ্টতা দূর করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর