সিলেট: দীর্ঘ ২৮ বছর পর আগামী ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯ টায় শাবিপ্রবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।

উপাচার্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন করবে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করব না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে ভিসি সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। কিন্তু ভিসির সেই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আন্দোলনে নামেন।
এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে রাত ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
পরে রাত ১১টার দিকে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন ও প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান শুক্রবার তফসিল ঘোষণার আশ্বাস দিলেও অবরোধ চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
এক পর্যায়ে রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম।
এসময় তারা শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে আগামী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে-এমন আশ্বাস দেন। এরপর অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন তারিখ ঘোষণার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীদের দাবি, ৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—‘৮ তারিখ নির্বাচন দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘লন্ডনের প্রেসক্রিপশন এই ক্যাম্পাসে চলবে না’, ‘তুমিও জানো আমিও জানি, ভিসি, প্রো-ভিসি লন্ডনি’, ‘আবু সাঈদ রুদ্র, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু একটি পক্ষের প্রভাবে নির্বাচন পেছানো হয়েছে।
গতকাল উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, ৯ বা ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। অথচ আজ হঠাৎ ১৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হলো, যা আমরা মানছি না।’দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।