বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে জয়ের স্বাদ পাননি শমিত সোম। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে মাঠে নামার আগে শমিত বলছেন, ভারতকে হারিয়েই প্রথম জয় পেতে চান তিনি।
হামজা চৌধুরীর মতো তিনিও এসেছেন দেশের বাইরে থেকে। কানাডা প্রবাসী এই ফুটবলারকে নিয়েও তাই বেশ মাতামাতি বাংলাদেশ ফুটবলে। মাত্র ৪ ম্যাচ খেললেও এরই মধ্যে নিজের অস্তিত্বটা জানান দিয়েছেন তিনি।
হংকং, নেপালকে হারাতে না পারলেও ভারতকে হারিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শমিত, ‘হ্যাঁ, মিডফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমি মনে করি, পুরো দল, গোলকিপার, ডিফেন্স, মিডফিল্ড, স্ট্রাইকিং-সব পজিশনের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস আছে যে, আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, জিততে পারব। বিগত ম্যাচগুলোতে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে, কিন্তু জয়টা পাচ্ছি না। জয়টা আমাদের পাওয়া উচিত। আশা করি, আমরা এবার সেটা পাব।’
অন্তিম মুহূর্তে গোল খেয়ে জয়বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। শমিত বলছেন, এমন অবস্থার পরিবর্তন খুব দ্রুতই আসবে, ‘ফুটবলে এমন হয় (শেষ দিকে মনোযোগ হারানো), তাই না? আমরা কেবল ভাগ্যেকে পক্ষে পাচ্ছি না। এমনকি নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে ওরা যে কর্নার কিক পেয়েছে, ওইটা আসলে মনে হয় অফসাইডও ছিল, তাই না? কিন্তু ফুটবলে এগুলো হয়। জানি না, কী কারণে আমরা মনোযোগ হারাচ্ছি, কিন্তু আশা করি, ভাগ্যকে সামনে পাশে পাব, মনোযোগ হারাব না এবং আমরা যেন ওভাবে গোল হজম না করি। মূল বিষয় হলো, আমাদের মনোযোগ ধরে রাখতে হবে শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পরিকল্পনা জানালেন শমিত, ‘ভারত ভালো দল, কিন্তু তাদেরও দুর্বলতা আছে। ওদের মিডফিল্ড লাইন ও ডিফেন্স লাইনের মাঝে ফাঁক থাকে, জায়গা থাকতে পারে। আপনারা দেখেছেন, নেপাল যেভাবে ডিফেন্ড করেছে, ভারত মনে হয় এত ভালোভাবে ডিফেন্ড করতে পারবে না, স্ট্রাকচার ওইভাবে রাখতে পারবে না। আমরা ওই জায়গাতে সুযোগটা নিতে পারব। জানি, ভারত ভালো দল, আমরাও ভালো দল। এই ম্যাচটার অনেক অর্থ আছে, তাই না? যে দ্বৈরথটা আমাদের মধ্যে আছে, ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, কিন্তু আমরা প্রস্তুত থাকব। আশা করি, আমরা জিততে পারব। আমরা ভালো খেলতে পারি, ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারি। যে জয়টা খুঁজছি আমরা, এই মঙ্গলবারের ম্যাচে সেটা আশা করি পাব।’
আগামী ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত।