ঢাকা: বন্ডের অপব্যবহাকারীদের তালিকা চেয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। এতে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সুনির্দিষ্ট করে বলবেন, আমাদের কোন কোন সদস্য বন্ডের অপব্যবহার করে। আমাদের কোন সদস্য যদি বন্ডের অপব্যবহার করে আমরা তাদের সেবা বন্ধ করে দিব। আমরা আমাদের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ইন্ডিকেশন দিয়ে বলেছি, এসব করবেন না। মুষ্ঠিমেয় কয়েকজনের জন্য পুরো শিল্পকে দায়ী হবে সেটি আমরা গ্রহণ করবোনা।’
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বন্ড লাইসেন্স যাদের নেই তাদের ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে উপকরণ আমদানির সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এটি যদি কার্যকর করা যায় অন্তত আমাদের ২০০ সদস্য বন্ড লাইসেন্স সারেন্ডার করে দেবে। কারণ বন্ড লাইসেন্স করার যে ঝক্কি, ঝামেলা; এটি থেকে অনেকেই রেহাই পেতে চান। বন্ড লাইসেন্স ছাড়া ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে উপকরণ আমদানি করতে পারলে অনেকই বন্ড লাইসেন্স সারেন্ডার করে দেবে।’
কর অব্যাহতির ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি সভাপতি বলেন, ‘কর অব্যাহতির ক্ষমতা এনবিআরের চেয়ারম্যানের থাকবেনা। এটির ক্ষমতা অর্থ উপদেষ্টারও থাকবেনা। সেটি সংসদে যেতে হবে। এটিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। একইসঙ্গে আমরা বলতে চাই, যখন আপনারা কোন সুবিধা বন্ধ করবেন, সেটাও সংসদে যেতে হবে। চলমান সুবিধা হঠাৎ করে এসআরও দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়, এটি যেন আর না হয়, এই ক্ষমতাও যেন সংসদের হাতে যায়।’
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা অটোমেশনের পক্ষে। অটোমেশন না হলে দুর্নীতি বন্ধ হবেনা। এটি সময়ের ব্যাপার। এটি করতে হবে।’
বিজিএমইএ সভাপতি বন্ড লাইসেন্স ব্যবহাকারীদের তালিকা চাইলেও তা দেওয়া যায়না বলে উল্লেখ করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, বন্ড কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের ট্রেনিং দেওয়া হবে। সেখানে উত্তীর্ণ না হলে তাদের চাকরি করতে সমস্যা হবে। এ সময় অদক্ষ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বন্ডের পুরো কাজ দ্রুতই অটোমেশন করা হবে। ভবিষ্যতে আর মান্যুয়াল্লি বন্ডের কোন কাজ হবেনা।