ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের ইতিবাচক ধারায় লেনদেন শেষ হয়েছে। যদিও আগের কয়েক কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় পুজিবাজারে রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল শুরু হয়েছিল পতন দিয়ে। কিন্তু টানা পতনে অতিষ্ট হয়ে পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীদের রাস্তায় নেমে আসা এবং আগের তুলনায় শেয়ারের দর অনেক কমে যাওয়ার কারণে শেষ বিকেলে ক্রেতা ফিরেছে। ফলে দিনশেষে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩৬ শেয়ারের দর বৃদ্ধি হয়েছে। তবে দর বাড়লেও টাকার অংকে লেনদেন পরিমাণ কমেছে।
লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, রোববার দর নামতে নামতে আগের দিনের চেয়ে ৮০ পয়েন্ট কমে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা। পরে আস্তে আস্তে পতনের মাত্রা কমতে থাকে। দিনশেষে আগের দিনের চেয়ে সূচক বেড়ে যায়। শেষ বিকেলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৩২ পয়েন্টে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের বুধবার ৪৭ পয়েন্ট কমেছিল। আর মঙ্গলবার ১২ পয়েন্ট বাড়লেও তার আগের টানা ৭ কার্যদিবসের (২-১০ নভেম্বর) পতনের মধ্যে গত সপ্তাহের ৩৯ ও রবিবার ৬৮ পয়েন্ট এবং এর আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ১৯ পয়েন্ট, বুধবার ৩২ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ৪২ পয়েন্ট, সোমবার ৫৫ পয়েন্ট ও রবিবার ৬ পয়েন্ট কমেছে। এতে করে সূচকটি ৭ কার্যদিবসে কমে ২৬১ পয়েন্ট।
রোববার ডিএসই-তে ২৯৮ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৩৮৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ২২ শতাংশ।
আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৩৬টির বা ৬১.৪৬ শতাংশের। আর দর কমেছে ১১৩টির বা ২৯.৪৩ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৩৫টির বা ৯.১১ শতাংশের।
অপরদিকে সিএসই-তে রোববার ৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৪৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৭ টির, কমেছে ৮২টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১৭টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৩২৭ পয়েন্টে।
আগের দিন সিএসই-তে ৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ২১৯ পয়েন্ট কমেছিল।