৪ বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তারা। তাদের রক্তেই মিশে আছে ফুটবল। সেই ইতালিই কিনা টানা তৃতীয়বারের মতো ফিফা বিশ্বকাপের মূল পর্বে না খেলার শঙ্কায়! ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে নরওয়ের কাছে ৪-১ গোলে হেরে সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পায়নি আজ্জুরিরা। কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারবে ইতালি?
২০১৮ ০ ২০২২ বিশ্বকাপে মূল পর্বে খেলতে ব্যর্থ হয়েছিল ইতালি। দুইবারই ইউরোপিয়ান অঞ্চল থেকে সরাসরি মূল পর্বে যেতে পারেনি আজ্জুরিরা।
দুইবারই ইউরোপিয়ান প্লে-অফ খেলতে হয়েছিল ইতালিকে। দুইবারই কপাল পুড়েছে তাদের। ২০১৮ বিশ্বকাপে ওঠার লড়াইয়ে প্লে-অফে তারা সুইডেনের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে হেরেছিল ১-০ ব্যবধানে। চার বছর পর ২০২২ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নও ভেঙে যায় প্লে-অফে। সেবার উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ গোলের হারে আজ্জুরি।
৪৮ দলের বিশ্বকাপে খেলতে ইতালিকে এবারও তাকিয়ে থাকতে হবে প্লে-অফের দিকেই। প্লে-অফে ইতালির প্রতিপক্ষ কে হবে, সেটা জানা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই।
ইতালির এমন বিপর্যয়ে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। শীর্ষ ফুটবল সাংবাদিক জেমস হর্নক্যাসল ইউরো লিগস এক পডকাস্টে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ এখন আরও বড় হয়েছে, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি দল অংশ নিচ্ছে, তারপরও ইতালির বাদ পড়তে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে প্রথমবার বাদ পড়ার সময় একে ‘মহাবিপর্যয়’ বলা হয়েছিল। এখন আমরা সেই মহাবিপর্যয়ের কোন স্তরে আছি, তা আমি সত্যিই জানি না।’
ইতালির কোচ জেনারো গাত্তুসো অবশ্য বাদ পড়ার কারণ হিসেবে ‘বাছাইপর্বের প্রক্রিয়াকে’ দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ে, সেরা রানার্সআপ দলগুলো সরাসরি বিশ্বকাপে যেত। এখন নিয়ম বদলে গেছে। ১৯৯০ এবং ১৯৯৪ সালে আফ্রিকার দুটি দল ছিল (১৯৯৪ সালে তিনটি দেশ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল), আর এখন আছে ৯টি। এটা কোনো বিতর্ক নয়, কিন্তু এতে কিছু কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং আমরা তা ভালোভাবেই জানি।’