ঢাকা: বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। জবাবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংস্থার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় দফা সংলাপে অংশ নেওয়া ছয় রাজনৈতিক দলের নেতারা এ সংশয় প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় জাকের পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পাটি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সংলাপে অংশ নিয়ে জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বলেন, এত সুন্দর আচরণবিধির উপর আস্থা রাখতে চাই আমরা। কালো টাকার প্রভাব ও পেশীশক্তির দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব আব্দুস সামাদ বলেন, দেশ শুধু নয়, আমরা চাই বিতর্ক ও হতাশামুক্ত নির্বাচন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান জোটবদ্ধ নির্বাচনেও নিজ প্রতীক ব্যবহারের সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানান। জামানাতের অর্থ কমানো, সোশাল মিডিয়ার প্রচারণা বন্ধ ও মনিটরিং টিম গঠনের দাবি জানান তিনি।
খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী জানান, নির্বাচনের তিন আগে সেনা মোতায়েন ও ইউনিয়নে একটি করে ক্যাম্প রাখলে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে।
আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আচরণবিধিতে সাংঘর্ষিক বিষয় রয়েছে উল্লেখ করে জানান, আইন ও আচরণবিধি ইসির কর্মপরিকল্পনা আরও স্পষ্ট করতে হবে।
এ সময় তিনি এআই অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন- উল্লেখ করে ফুয়াদ বলেন, পর্নোগ্রাফি থেকে শুরু করে হেন কোনো বাজে কাজ নেই যা আমার নামে ছড়ানো হচ্ছে না। এটা বন্ধে ইসির সহযোগিতা চান তিনি।
নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব দলের লোকেরা এটা প্রচার করছে। মোবাইলে নিয়ে নিয়ে চায়ের দোকানে গ্রামবাসীকে দেখাচ্ছে; দেখায় ওই যে টাক আছে না, টাকলু এসেছে, কত ভালো ভালো কথা বলে, কী করে দেখ। দোকানে দোকানে গিয়ে এসব দেখাচ্ছে।
তিনি ইসির কাছে প্রশ্ন রাখেন, কীভাবে করবেন, কয়টা চায়ের দোকানে যাবেন। এ চ্যালেঞ্জ কীভাবে এড্রেস করবেন। আমরা কনফিডেন্সের জন্য জানতে চাই।
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাড. এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান জানান, সংসদ ও গণভোট একসাথে হচ্ছে। গণভোটের ব্যালট আগে ইস্যু করে পরে সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ইস্যু করা গেলে ভালো। একসাথে দিলে হ্যাঁ/না ভোট খালি আসবে বলে ধারণা করেন তিনি।
এ সময় সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। জাতিকে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই, আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। ভোটারদের উপর দলের সরাসরি প্রভাব রয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে সভা, সেমিনারসহ নানা উদ্যোগ থাকবে। পাশাপাশি দলের সহযোগিতা তৃনমূলেও প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ৫ অগাস্ট ও আগে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারের কাজ চলমান উদ্ধার চলমান রয়েছে। তফসিলের পর থেকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে মাঠে।
১৮ নভেম্বর পোস্টাল ভোট বিডি নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ জানান, নির্বাচনে আমাদের অক্ষমতাটা হলো, আপনাদের অসহযোগিতা। আপনার সহযোগিতা করলে আলহামদুল্লিাহ! আর অসহযোগিতা করেন ইন্নালিল্লাহ।