Monday 17 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভবিষ্যতে কেউ হাসিনা হয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন না’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৭ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:০৮

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ভোলা: ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ভবিষ্যতে কেউ হাসিনা হয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন না। হাসিনার পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন। আমরা চাই, ফ্যাসিবাদ মুক্ত একটি রাজনীতি ও কালচার সবাই গড়ে তুলবেন এবং সেই আলোকে নিজেদের দলীয় এজেন্ডা ঠিক করে মানুষের জন্য রাজনীতি করবেন। কোনো ফ্যাসিবাদী ও খুনের রাজনীতি করবেন না। আমি আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার শিগগিরই খুনি হাসিনাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে এনে তাকে এবং গণহত্যায় তার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার কার্যকর করবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভোলা জেলা পরিষদ হলরুমে ইসলামী ছাত্রশিবির ভোলা পৌর শাখার আয়োজনে এক প্রতিনিধি সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খুনি হাসিনা শুধু জুলাই আগস্টে এসে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা নয়; বাংলাদেশে এর আগে হত্যার রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছিল আওয়ামী লীগ ও হাসিনা। আপনারা দেখেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর সারাদেশ থেকে লগি-বৈঠা নিয়ে ঢাকায় আহ্বান করেছিল এবং কত নির্মমভাবে মানুষকে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। লাশের ওপর দাঁড়িয়ে নৃত্য করার মতো বর্বর কর্মকাণ্ড খুনি হাসিনা ও তার বাহিনী আওয়ামী লীগ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘তারই ধারাবাহিকতায় ১/১১ এসেছে এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় এসে আমাদের চৌকস ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। দেশমাতৃকা ও সার্বভৌমত্বকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য, নতজানু একটি পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করার জন্য, আধিপত্যবাদীদের কাছে নতশিকার করার জন্য, আমাদের দেশের চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে।’

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি রাতের আঁধারে শাপলা চত্বরে আলেম-ওলামাদের হত্যা করেছে। আল্লামা সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে যখন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এলো, তখন নারী-পুরুষ-শিশুসহ ১০০-এর বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এটি বড় একটি গণহত্যা ছিল। বাংলাদেশে এমন কোনো মানুষ ছিল না, এমন কোনো পেশা ছিল না যেখানে হাসিনা তার নির্যাতন চালায়নি।’

জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, খুনি হাসিনা তো পালিয়ে বসে আছে আরেক জায়গায়। সে রাষ্ট্রকে আমরা বলতে চাই, যারা আমাদের দেশের গণহত্যাকারীদের আশ্রয় দেয়, তারা কখনো আমাদের বন্ধু হতে পারে না। যারা আমাদের দেশের ফেলানিকে হত্যা করেছে, কথায় কথায় সীমান্তে গুলি চালিয়ে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করে, তারা আমাদের বন্ধু হতে পারে না। তাদের আমরা স্পষ্ট বলব, প্রতিবেশীদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করবেন, প্রভুত্বের ও দাদাগিরির আচরণ করতে আসবেন না। এজন্য খুনি হাসিনাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিবেন এবং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সামনে প্রকাশ্যে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে ইনশাআল্লাহ।’

এ সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভোলা শহর শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর ভোলা জেলা শাখার আমির মাস্টার জাকির হোসাইন প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর