ঢাকা: কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের বুধবার (১৯ নভেম্বর) দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একদিন আগেই মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ভারতের রাজধানীতে পৌঁছে গেছেন তিনি।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, খলিলুর রহমান সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর দিল্লিতে পৌঁছেন। ভারতের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, সিএসসির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সপ্তম সম্মেলন বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকালে জোটের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলন শুরু হবে। আর মধ্যাহ্নভোজের পর তা শেষ হবে। ওইদিন বিকেলেই খলিলুর রহমানের ঢাকার উদ্দেশে দিল্লি ছাড়ার কথা রয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এমন এক সময়ে দিল্লিতে গেলেন যখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করে ভারতকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের দিল্লি অবস্থানকালে তার সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় কি না, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।
অজিত দোভাল কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে গত মাসে খলিলুর রহমানকে আমন্ত্রণ জানান। তার এই সফর নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের একবছরের বেশি সময়ে মাত্র দু’জন উপদেষ্টার ভারত সফর হচ্ছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকে অংশ নিতে ভারত সফরে যান জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।