বগুড়া: জেলার নামুজা এসএসআই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার ল্যাবসহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে সাবেক জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক প্রার্থী। অভিযোগকারী শাহাদত হোসাইন দাবি করেছেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেলেও ঘুষ না দেওয়ায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
শাহাদত হোসাইন জানান, নামুজা এসএসআই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার ল্যাবসহকারী পদে আবেদন করে তিনি লিখিত ও মৌখিক মিলিয়ে ৩৪.৫০ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফলও তাকে সরবরাহ করা হয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, ফল প্রকাশের দুই দিন পর ১৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুস্তম আলী তাকে ডেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। শাহাদত ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে ৬ অক্টোবর স্থানীয় পত্রিকায় একই পদে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি জানাতে তিনি সাবেক জেলা প্রশাসকের কাছে গেলে তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে তিনি লিখিত অভিযোগও দাখিল করেন।
কার্যকর ব্যবস্থা না পেয়ে শাহাদত গত ৯ অক্টোবর সাবেক ডিসি হোসনা আফরোজাকে প্রধান বিবাদী করে প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিবাদীদের কৈফিয়ত তলব করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা জবাব দিতে ব্যর্থ হন। ফলে বিচারক সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ নভেম্বর।
মাদরাসার অধ্যক্ষ রুস্তম আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা ঘুষের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ ছিল। নতুন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।