বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি জরানোর পর এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন তিনি। ঘরের মাঠে ভারতের মতো প্রতিপক্ষকে হারিয়ে বিজয় উল্লাসে মেতেছে পুরো দল, তার মধ্যমণি হামজা চৌধুরী। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে হামজা বলছেন, এটা তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সাফল্য।
সবশেষ ২০০৩ সালে ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২২ বছর পর ঠিক একই মাঠে আবারও ভারতকে হারনোর স্বাদ পেলেন হামজরা। মোরসালিনের একমাত্র গোলে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে দারুণ এক জয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এমন জয় দর্শকের অনুভূতি দেখে আবেগআপ্লুত হামজা, ‘আমরা আজ ১৮ কোটি মানুষকে খুশি করেছি। পৃথিবীর আর কোথাও এটা সম্ভব নয়। তাই এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্যের মধ্যে থাকবে।’
এমন জয়ের রহস্য জানালেন হামজা, ‘আমি ম্যাচের পরই বলেছি, আমি তো আসলে ক্যাম্পে একেবারে শেষে যোগ দিয়েছি। কোচ, কোচিং স্টাফ আর খেলোয়াড়রা প্রায় ২৩ দিন ধরে এখানে আছে-কোচ বলেছেন পাঁচশ ঘণ্টারও বেশি। পরিবার থেকে দূরে, হোটেলে থেকে দেশের জন্য, পরিবারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে গেছে সবাই। আলহামদুলিল্লাহ, আজ তার ফল মিলেছে।’
এশিয়ান কাপের মূল পর্বে পৌঁছাতে না পারলেও সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো করার প্রত্যয় হামজার কণ্ঠে, ‘হ্যাঁ, কষ্ট লাগে অবশ্যই (বাছাই পেরুতে না পারা)। কিন্তু এটিও এক ধরনের ফাইনাল ছিল। ২২ বছর মানুষ অপেক্ষা করে আছে বড় ম্যাচ জেতার জন্য। আজ সেটাই হয়েছে। আমরা সবাই জানতাম-পারফরম্যান্স তো হচ্ছেই, এবার দরকার ফল। আজ হয়তো পারফরম্যান্সটা পুরোদমে হয়নি, কিন্তু ফল এসেছে। এখন মার্চে আবার নতুন করে তৈরি হবো এবং দুইটিকে একসাথে মিলিয়ে আরও শক্ত দল হয়ে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।’