ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘ফার্মা কানেক্ট’ নতুন ব্যবসায়িক সংযোগ তৈরি এবং ভবিষ্যৎমুখী, উদ্ভাবন-চালিত কাঠামোতে ভারত-বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা বাড়াতে সহায়তা করবে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান–বিনিময়মূলক ‘ফার্মা কানেক্ট’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রদর্শনী সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া-২০২৫–এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রস্তুতি হিসেবে এ আয়োজন করা হয়। আগামী সোমবার থেকে বুধবার (২৪-২৬ নভেম্বর) পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ নভেম্বর (বুধবার) ভারতীয় হাইকমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে ওষুধ খাতের কৌশলগত গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশের জন্য একটি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে রয়ে গেছে। বিশেষ করে এপিআই সোর্সিং, প্রক্রিয়া প্রযুক্তি এবং ওষুধ যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে এবং এই খাতে বৃহত্তর সহযোগিতা কেবল শিল্প প্রবৃদ্ধিকেই বাড়িয়ে তুলবে না বরং অঞ্চলজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের এবং সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবাকেও সমর্থন করবে।
‘ফার্মাকানেক্ট’ ওষুধ খাতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী পরিপূরকতার কথা তুলে ধরে। অনুষ্ঠানে ভারতের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক ওষুধ শিল্প এবং বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল উৎপাদন ক্ষমতা কীভাবে সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করতে, নতুন প্রযুক্তি অ্যাক্সেস করতে এবং বাণিজ্যিক সংযোগ গভীর করতে একসাথে কাজ করতে পারে তা প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বাপি) এর সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির সহ শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিরা ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী নাগালের কথা এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর, গবেষণা ও উন্নয়ন চুক্তি এবং সরবরাহ-শৃঙ্খল একীকরণের মতো ক্ষেত্রে ভারতের সাথে আরও গভীর সহযোগিতার সম্ভাবনা তুলে ধরেন। এছাড়া বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের দাবিও তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশী ওষুধ শিল্পের প্রতিনিধিরা দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করেন যে এই ধরনের সম্পৃক্ততা আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জোরদার করবে, প্রযুক্তির অ্যাক্সেস সহজতর করবে, সরবরাহ-শৃঙ্খল স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য নতুন পথ উন্মোচন করবে।