বাগেরহাট ও পটুয়াখালী: বৈশ্বিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফসিল গ্যাসের বিস্তার বন্ধের দাবিতে বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতে নৌ-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক জাতীয় সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এ নৌ র্যালির আয়োজন করে। ১৯ নভেম্বর (বুধবার) সকালে পশুর নদী ও কলাপাড়ার আন্ধার মানিক নদীতে এ নৌ-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দাবি জানানো হয়, গ্লোবাল সাউথের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বিষয়ে প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিমালা গ্রহণ করে জি-২০ ও কপ-৩০ সম্মেলনের সিদ্ধান্তে তা অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
পশুর নদীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থি ছিলেন- পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন- মোংলা উপজেলা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মদ সেলিম হাওলাদার, বিডি ক্লিন’র আবু হাসান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী ফাতেমা জান্নাত, নারীনেত্রী মাসুদা পারভীন, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মারুফ বিল্লাহ, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, ইয়ুথ লিডার শেখ সিফাতুল্লাহ শুভ, মঈন গাজী, ডলার মোল্লা, মেহেদী হাসান প্রমুখ।

পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীতে নৌ-র্যালি। ছবি: সংগৃহীত
এদিকে, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আন্ধার মানিক নদীর নৌ-র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন- কলাপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি নেছারউদ্দিন আহমেদ টিপু, পরিবেশ সংগঠক মেজবাহউদ্দিন মাননু, নজরুল ইসলাম, সাইফুল্লাহ মাহমুদ, নাজমুস সাকিব প্রমুখ।
এখানে বক্তারা গ্যাস সম্প্রসারণ নিরসনে এই উপকূলীয় এলাকায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানান। এছাড়া সবধরনের ফসিল জ্বালানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। নৌ-বহরটি আন্ধার মানিক নদীর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
উল্ল্যেখ্য, ফসিল গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গ্লোবাল সাউথের এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় নানা কর্মসূচি পালিত হয়। বৈশ্বিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে নয়টি নদীতে এ নৌ-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।