বগুড়া: চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাবেক উপ-কমিশনার হামিদুল আলম মিলন ও তার স্ত্রী মেধা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর শাহজাদী আলম লিপির জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. শাহজাহান কবির দুদকের করা দুটি পৃথক আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতের নির্দেশে ক্রোককৃত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর করা যাবে না। এছাড়া জেলা রেজিস্ট্রার, সাবরেজিস্ট্রার এবং বিভিন্ন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাতে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হামিদুল আলম বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার তাজুরপাড়ার মৃত এএসএম ইবনে আজিজের ছেলে এবং শাহজাদী আলম লিপি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মৃত ডা. শহীদুল্লাহ মন্ডলের কন্যা।
এরআগে দুদকের বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর সম্পত্তি ক্রোক ও রিসিভার নিয়োগের আবেদন করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী বগুড়া, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। শাহজাদী আলম লিপির সম্পত্তিতেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হয়েছে।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাহজাদী আলম লিপি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনি প্রচারে হামিদুল আলম সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি তাকে বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর লিপির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হলে হামিদুল আলম আত্মগোপন ছিলেন। বগুড়ায় ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় হামিদুল আলম মিলন গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। বিচারক মেহেদী হাসান তার আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।