ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এই পথ সুগম করতে সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপি এবং গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক; একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি টেকসই হতে পারে না।
শনিবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা, যুদ্ধ পরিচালনা ও দেশের মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ঐতিহাসিক। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু মুক্তিযোদ্ধা নন; সংস্কারক, আধুনিক রাষ্ট্রের রূপকার ও ৭ই নভেম্বরের অন্যতম প্রধান নেতাও। তার ভাষ্যমতে, একই ব্যক্তির হাতে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা, দেশ পরিচালনা, সংস্কার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মতো ভূমিকা বিরল।
তিনি বলেন, এমন একজন নেতা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা হওয়ায় বিএনপি গর্ববোধ করে। বক্তব্যে তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে ‘গণতন্ত্রের অটল সৈনিক’ এবং তারেক রহমানকে ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগের প্রসঙ্গে আমীর খসরু জানান, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক মূল্য পরিশোধ করেছেন এবং তারেক রহমানও দেশের বাইরে থেকেও দলের নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকেছেন।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্রের পথ সুগম হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ‘গণতন্ত্রবিরোধীরা’ নির্বাচন বিলম্বিত কিংবা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।
আমীর খসরুর দাবি, নির্বাচন গণতন্ত্রের ভিত্তি, আর যারা গণতন্ত্রে আস্থা রাখে না, তাদেরই এতে লাভ হয়। তাই তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।