Saturday 22 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবরোধের ডাক দিল চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদও

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ নভেম্বর ২০২৫ ২০:০৭

‘চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদ’র সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ (এনসিটি) বিভিন্ন স্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে আরও একটি সংগঠন। ‘চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদ’ সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বন্দরের আশপাশে তিনটি স্পটে এ কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ রুমী।

এর আগে, সকালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এক কনভেনশন থেকে একই দাবিতে ২৬ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের সকল প্রবেশমুখ অবরোধের ঘোষণা দেয় শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।

বিজ্ঞাপন

অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে হাসান মারুফ রুমী বলেন, ‘আমরা সিরিজ কর্মসূচি দেব না। তবে আগামী ২৪ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বড়পোল, আগ্রাবাদ, সিম্যান্স হোস্টেল এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করব আমরা। শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘট করবো। কেউ উসকানিমূলক কিছু করলে পরিণতি ভালো হবে না। আমরা নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছি।’

বন্দর নিয়ে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিচারের রায়ের দিন বন্দরের দু’টি স্থাপনা ইজারার চুক্তি দূরভিসন্ধিমূলক। এটা কাবিননামা নয় যে, গোপনে করবেন। দেশের সম্পদ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তা জানার অধিকার বাংলাদেশের মানুষের আছে। জুলাই সনদেও এটা উল্লেখ আছে।’

‘সরকার যখন বলে বন্দরে দুর্নীতি হয়, তখন তাদের কাজ তদন্ত কমিটি করা। তিনটি কাজ সরকারের, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফলাইন। আগে তদন্ত করেন বন্দরের কোথায় কোথায় দুর্নীতি আছে। তার পর সংস্কার করেন কীভাবে দুর্নীতিমুক্ত বন্দর পরিচালনা করতে হয়। বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে সিসিটি, এনসিটি দেওয়ার পরিষ্কার বিরোধিতা করতে চাই আমরা। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে সম্ভাব্য বিনিয়োগের ৫৪০০ কোটির মধ্যে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ইক্যুইপমেন্ট লাগবে। এ টাকা দেশে ঢুকবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে বিভাগীয় শ্রমিক দলের সদস্য মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘কিছু মানুষের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিদেশিদের দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে ‍তুলে দিয়েছে। আমাদের তৈরি করা সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে পারি না। এখন যে প্রোফিট হচ্ছে তা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া। যখন বিদেশ থেকে কনটেইনার আসে তখন শিপিং এজেন্ট আইজিএম সাপোর্ট করে। শিপিং এজেন্ট কর্মচারী ভুল করলে সংশোধনের পন্থা রাখেনি কাস্টমস ও এনবিআর। ম্যানুয়ালি সংশোধন করতে ১৫-১৬ দিন সময় লাগে। তার বিরুদ্ধে কথা নেই। যার দোষ তাকে বলুন।’

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো কর্মচারী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আমি অনুরোধ করব, আমরা দোষ করলে আমাদের বিরুদ্ধে লিখেন। কিন্তু এনসিটি-সিসিটি বিদেশিদের হাতে না দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।’

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর