Monday 24 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যবসা সহজীকরণ ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা দিতে চায় কানাডা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:২৪

-ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশকে বৈশ্বিকভাবে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস এবং সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করতে চায় কানাডা।

রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় কানাডার সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি মিনিস্টার (ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড) ও চিফ ট্রেড কমিশনার সারা উইলশো এ কথা জানান। ডিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং-এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের গুলশান সেন্টারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সারা উইলশো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রফতানি, রফতানির বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্য আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কানাডা শিক্ষাখাতে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে এবং বাংলাদেশ থেকে বহু শিক্ষার্থী কানাডায় পড়াশোনা করে। শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন খাতে উভয় দেশেরই একসঙ্গে কাজ করার সমান সুযোগ রয়েছে। অটোমোটিভ শিল্প ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতেও কানাডার প্রশংসনীয় সক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে কানাডার অটোমোটিভ খাত নতুন বাজার খুঁজছে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং বলেন, কানাডা বাংলাদেশে বাণিজ্য বাড়াতে অত্যন্ত আগ্রহী। ভবিষ্যতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে হলে দু’দেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর যোগাযোগ বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দক্ষতা উন্নয়ন, কারিগরি সহায়তা, ভোকেশনাল ট্রেনিং, নার্সিং, অ্যাগ্রো-টেক শিল্প, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে কাজ করতে চাই।

বৈঠকে ডিসিসিআই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ থেকে অধিক আমদানির আহবান জানিয়ে বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সবুজ প্রযুক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা সরঞ্জাম, আর্থিক সেবা, তথ্য-প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অবকাঠামো, স্মার্ট লজিস্টিকস পরিসেবা ও কোল্ডচেইন ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে কানাডীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হস্তশিল্প, সাইকেল, তৈরি পোষাক, সিরামিকস, ফার্নিচার, ঔষধ, প্রক্রিয়াজাত ও হিমায়িত খাদ্যপণ্য, সফট্ওয়্যার ও বিপিও সেবা প্রভৃতি পণ্য বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি হারে আমদানি করতে পারে কানাডা।

সারাবাংলা/এসএ/এসআর