জবি: রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক নারী শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে তুলে মারধরের ঘটনায় ৪ জন ট্রাফিক সহায়তাকারীকে আটক করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
এর আগে সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে হামলার ঘটনায় ৭ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এরা হলেন- তালহা (সিএসই–২০), আল–আমিন (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা–১৯), সোহেল (সমাজবিজ্ঞান–১৯), চৈতি আলম ( সমাজবিজ্ঞান-১৫ ), মোহন খোন্দকার (সমাজবিজ্ঞান–১৯), সোহান প্রামাণিক (ইসলামিক স্টাডিজ–১৫) ও আল–আমিন (রসায়ন–১৯) রয়েছেন। গুরুতর আহতদের দয়াগঞ্জ ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর ১২টার দিকে মাগুরাগামী সাদ সুপার নামের একটি বাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দয়াগঞ্জ মোড়ে সিগনালে থামে। সে সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী যানজট সরাতে নামলে দায়িত্বরত তিন ট্রাফিক সহায়তাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ট্রাফিক সহায়তাকারীরা অকর্থ্য ভাষায় গালাগালি ও পুলিশ বক্সে আটকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এরপর ঘটনাস্থলে থেকে পুলিশ এসে ওই ৪ জন ট্রাফিক সহায়তাকারীকে আটক করে নিয়ে যান।
হামলার শিকার সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী তালহা বলেন, ‘দয়াগঞ্জ মোড়ে যানজট ছিল। কয়েকজন ভাই ট্রাফিকের লোকজনকে বাসটা ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু তারা উল্টো আমাদের ওপর ক্ষেপে যায়। পরে পুলিশের লাঠি দিয়ে বক্সে তুলে মারধর করে।’
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সোহান প্রামাণিক বলেন, ‘জুনিয়রদের মারধরের খবর পেয়ে বক্সের সামনে গেলে আমাকে ভেতরে নিয়ে লাঠিপেটা করা হয়। কপাল ফেটে যায়।’
এ বিষয়ে ওয়ারী বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সার্জেন্ট ও ট্রাফিক সহায়তকারীদের কথাকাটাকাটি থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্স ঘেরাও করে। আমরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করি। চারজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জবি প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিমসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’