ঢাকা: বিগত সরকারের আমলে (২০২৪ সালের আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে) নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ও অ-ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল বা নিয়মিতকরণে বিশেষ নীতি সহায়তা প্রদানে খেলাপি ঋণের সময়সীমা ৫ মাস বাড়িয়েছে সরকার। একই সঙ্গে অশ্রেণিকৃত ঋণের বিশেষ পুনর্গঠনজনিত সুবিধার ক্ষেত্রে ইতোপূর্বে আরোপিত সময়সীমা প্রত্যাহার এবং বিশেষ এক্সিটজনিত সুবিধার ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সংশোধিত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
এর আগে চলতি পঞ্জিকা বছরের গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত মূল সার্কুলারটি জারি করা হয়েছিল।
মূল সার্কুলারে বিশেষ নীতি সহায়তা প্রদানে বিরূপমানের শ্রেণিকৃত ঋণ চিহ্তি করণের সময়সীমা গত ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। সংশোধিত সার্কুলারে এটি আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মূল নীতিমালা অনুযায়ী, বিরূপমানের শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মোট ঋণের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ২ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।
দ্বিতীয়ত: অশ্রেণিকৃত ঋণের বিশেষ পুনর্গঠনজনিত সুবিধার ক্ষেত্রেও চলতি বছরের গত ৩০ জুন পর্যন্ত চিহ্নিত ঋণগুলোর এর আওতাধীন ছিল। সংশোধিত সার্কুলারে এ সময়সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তি রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশেষ এক্সিট সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ঋণের কিস্তি মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। তবে মোট বার্ষিক পরিশোধ কমপক্ষে ঋণের ২০ শতাংশ হতে হবে। ব্যাংকগুলোকে বিশেষ এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণগুলোকে ‘এক্সিট (এসএমএ)’ মানে প্রদর্শন করতে হবে এবং ঋণের বিপরীতে সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। প্রভিশন সংরক্ষণ না করে এগুলো ব্যাংকের আয় হিসাবে স্থানান্তর করা যাবে না এবং সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে নতুন ঋণ দেওয়া যাবে না।