Monday 24 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ টন চাল কিনছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২৫ ০০:৪৬ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ০০:৫০

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে রফতানির জন্য ১ লাখ টন চাল ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে ‘ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান’ (টিসিপি)। টিসিপির এই উদ্যোগকে দুই দেশের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক উষ্ণতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত ২০ নভেম্বর ইস্যু করা এই টেন্ডারের বিষয়টি সোমবার (২৪ নভেম্বর) প্রকাশ্যে এসেছে।

এই বিষয়ে সোমবার পাকিস্তানের পত্রিকা ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—২০২৪ সালের আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন কাটিয়ে ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যেই নতুন করে সরকারি পর্যায়ে এই ধরনের বাণিজ্যিক প্রক্রিয়া সামনে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

গত ২০ নভেম্বর জারি করা টিসিপি–এর টেন্ডার নথি পর্যালোচনা করেছে ডন। নথি অনুযায়ী, দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৮ নভেম্বর সকাল ১১টা ৩০ মিনিট। দরপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে—করাচি বন্দর হয়ে বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ১ লাখ টন লং-গ্রেইন সাদা চাল (ইরি-৬) ক্রয়ে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান, অংশীদারত্বভিত্তিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কিংবা বা একক মালিকানাধীন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পৃথক সিলযুক্ত প্রস্তাব চাওয়া হচ্ছে।

দরদাতাদের প্রস্তাবিত মূল্য জমা দেওয়ার পর তা ২১ কার্যদিবস পর্যন্ত বৈধ রাখতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষরের সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে চাল পাঠানোর উপযোগী হতে হবে। একেকটি বিডের পরিমাণ ন্যূনতম ২৫ হাজার টন হতে হবে এবং ২৫ হাজার টনের গুণিতকে জমা দেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ বিড ১ লাখ টন পর্যন্ত হতে পারবে, যার পরিমাণে কম-বেশি ৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় থাকবে।

টেন্ডার অনুযায়ী, চাল অবশ্যই পাকিস্তানের সর্বশেষ মৌসুমের উৎপাদিত হতে হবে এবং মানুষের খাদ্য উপযোগী, দুর্গন্ধহীন, ছত্রাক ও বিষাক্ত আগাছাবীজ বা পোকামাকড়মুক্ত থাকতে হবে।

এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, এই টেন্ডারকে অনেক ব্যবসায়ী পাকিস্তানি চালকে বাংলাদেশি আমদানি বাজারে নতুনভাবে প্রবেশ করানোর কৌশল হিসেবে দেখছেন। বাজার–বিশ্লেষকদের ধারণা, বাংলাদেশ যে চাল ক্রয় করছে, তার একটি অংশ ভারতীয় উৎস থেকে আসবে—এমন প্রত্যাশাও রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশও আজ চাল আমদানি আলাদা এক ঘোষণা দিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন জানিয়েছেন, ভারতীয় চাল সিঙ্গাপুরের সরবরাহকারীর কাছ থেকে কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চালের দাম বাড়তে না দেওয়ার লক্ষ্যে এই চাল আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারদর স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সরকার বারবার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরাসরি সরকার-টু-সরকার (জি-টু-জি) ভিত্তিতে ৫০ হাজার টন চাল বাণিজ্য করে। গত মাসে অনুষ্ঠিত নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে পাকিস্তান বাংলাদেশকে করাচি বন্দর ব্যবহার করে আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাবও দেয়।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর