Tuesday 25 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষ্যে ১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৯

কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা : আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর–১০ ডিসেম্বর) ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ১৫ দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, সাইবার সহিংসতাসহ নারী ও কন্যার প্রতি সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গঠনই এবারের প্রতিপাদ্য। তারা বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা কেবল নারীর বিষয় নয়, এটি মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের অন্তরায়।’

বিজ্ঞাপন

তারা আরো জানান, বিবিএস-এর সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৭৬% নারী জীবনে অন্তত একবার কাছের মানুষের (বিশেষ করে স্বামীর) দ্বারা শারীরিক, যৌন, মানসিক বা আর্থিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

২০২৫ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী শুধু ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ও ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৭১৩টি।

সাইবার সহিংসতা নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিবিএস-ইউএনএফপিএ জরিপে বলা হয়, ৮.৩% নারী-কন্যা জেন্ডারভিত্তিক সাইবার সহিংসতার শিকার।

তাদের প্রধান কর্মসূচিগুলো হলো:

২৫ নভেম্বর–১০ ডিসেম্বর: সামাজিক মাধ্যমে ই-পোস্টার, লিফলেট ও কনটেন্ট ক্যাম্পেইন

২৭ নভেম্বর: তরুণদের সঙ্গে কর্মশালা (কেন্দ্রীয় কার্যালয়)

৩ ডিসেম্বর: সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে অংশীজনদের মতবিনিময় (সিরডাপ)

৬ ডিসেম্বর: রোকেয়া দিবসে ‘রোকেয়া রান’ (বিডি রানার্সের সঙ্গে, শহিদ মিনার)

৮ ডিসেম্বর: শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

১০ ডিসেম্বর: মানবাধিকার দিবসে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (শহিদ মিনার)

দেশের সব জেলা শাখায়ও একই সময়ে তৃণমূল পর্যায়ে মতবিনিময় ও সচেতনতা কর্মসূচি পালিত হবে।

সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে সাইবার সহিংসতাসহ নারী ও কন্যার প্রতি সব ধরনের নির্যাতনকে ‘না’ বলি। ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়াই, ঘৃণা-বিদ্বেষের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই এবং তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়ে তুলি।’

তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, বৈষম্যমূলক আইন সংস্কার, সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন, বিচারহীনতার অবসান এবং জেন্ডার সংবেদনশীল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারী ও কন্যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ, নারী অধিকারকর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর