Tuesday 25 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হানিট্র্যাপে ফেলে কৃষি কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবি, জড়িতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট

স্পেশাল করেসপডেন্ট
২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৭

বগুড়া সদর থানা। ছবি: সারাবাংলা

বগুড়া: বগুড়ায় কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মুহা. মশিদুল হকের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, মব সৃষ্টির চেষ্টা ও হানিট্র্যাপের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাটকীয় ধর্ষণ মামলার তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। মামলা থেকে তাকে দায়মুক্তি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

হানিট্র্যাপে ফেলে চাঁদা আদায় করতেই মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, তদন্ত করে আদালতে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বগুড়া কৃষি বিভাগের জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার (উপপরিচালক) মশিদুল হকের নামে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছিলেন রত্না পারভীন নিপা নামের এক নারী। সাক্ষ্য প্রমাণে তার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তাকে মামলার দায়মুক্তির জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, কৃষি কর্মকর্তার দায়ের করা হানিট্র্যাপ, চাঁদা দাবির মামলার তদন্তে আলামত ও সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাকে তুলে নিয়ে নারীর সঙ্গের চিত্র ধারণ এবং ট্র্যাপে ফেলে চাঁদা দাবি করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে গত ১০ অক্টোবর চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। তারা হলেন-বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকার রত্না পারভীন নিপা এবং সেউজগাড়ী এলাকার সৌরভ।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার চারমাস আগে বগুড়া জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসে যোগদান করেন মশিদুল হক। এরপর থেকেই তিনি নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। গত ১৫ জুন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে শহরের জলেশ্বরীতলা ইয়াকুবিয়া মোড়ে পথরোধ করে আসামিরা কৌশলে তাকে নিয়ে যায়। তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে জড়িতরা। ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে নারীর সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তার অন্তরঙ্গ মুহুর্ত সাজিয়ে চিত্র ধারণ করা হয়। এ ঘটনায় গত ১ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন মশিদুল হক।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর