ঢাকা: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে অনলাইনে ভুয়া তথ্য, বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট, ভুয়া পরিচয় এবং গোপন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা কঠোর নজরদারির আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য অনলাইন ভুয়া তথ্য ঠেকাতে টিকটকের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে টিকটকের পাবলিক পলিসি ও সেফটি টিমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব এবং অন্যান্য কমিশনাররাও।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন টিকটক এর সাউথ এশিয়া অঞ্চলের হেড অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশনস ফেরদৌস মোত্তাকিন।
বৈঠকে সিইসি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে অনলাইনে ভুয়া তথ্য, বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট, ভুয়া পরিচয় এবং গোপন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি জানান, টিকটক ইতোমধ্যে নির্বাচন-সংক্রান্ত ভুয়া তথ্যের ৯৯ শতাংশ আগেই শনাক্ত করে অপসারণ, ভুয়া এনগেজমেন্ট নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা নিয়েছে।
আর এ বিষয়ে টিকটক এর সাউথ এশিয়া অঞ্চলের হেড অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশনস ফেরদৌস মোত্তাকিন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করা, যে টিকটক প্ল্যাটফর্ম যেন কোনভাবেই নির্বাচন-সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর তথ্য, মিসইনফরমেশন বা ম্যানিপুলেশনের জন্য ব্যবহার না হয়। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান, প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তিনি জানান, টিকটকের নিজস্ব বহুস্তরের সেফটি মেকানিজমস রয়েছে, যেগুলো সারা বছরই মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন, ইমপারসনেশনসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কনটেন্ট ঠেকাতে কাজ করে।
ফেরদৌস মোত্তাকিন আরও জানান, নির্বাচনের সময় আমরা অতিরিক্ত নজর দিই, যাতে সমন্বিতভাবে কোন পক্ষ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা না করতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন, মিডিয়া এবং প্ল্যাটফর্ম-সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে অনলাইন পরিবেশ সুস্থ, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য থাকে।