ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপিই একমাত্র দল, বহুবার দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। সেই সামর্থ্য এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা জনগণের সামনে যাব। এবং তাদের সমর্থন নিয়ে দায়িত্ব পেলে আমাদের সমস্ত অভিজ্ঞতা এবং সেই অভিজ্ঞতার মধ্যে আমরা যে ভুল করেছি, সেই ভুল যাতে আমরা সংশোধন করতে পারি, তা নিয়ে আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করব।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, একটা দেশের সবচেয়ে এক্সপেন্সিভ ইন্সট্রুমেন্ট হলো বা মেশিন হলো স্টেট মেশিন, রাষ্ট্রযন্ত্র। রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ে মূল্যবান, রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ে জটিল কোনো যন্ত্র কোনো দেশে নাই। আর সেই যন্ত্র পরিচালনার দায়িত্ব যারা চান, তাদের সক্ষমতা, তাদের অভিজ্ঞতা এটা তো বিবেচনার বিষয়।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের তালিকায় বিএনপি এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংখ্যা বেশি উল্লেখ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে কারা বেশি অংশ গ্রহণ করেছে? সে অনুযায়ী গুরুত্ব পাওয়া উচিত না? কিন্তু আমাদের কিছু কিছু সংগঠনের, কিছু লোকের কথায় মনে হয়, তারাই সব করেছে। কথার ভেতরে মনে হয় তারাই সব করেছে আরকি। ভাই ভেতরে ভেতরে করেছেন কিন্তু বাহিরে আসার সাহস পাননি কেন?’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে, তাদের মধ্যে আরেকটা দল আছে যে, তারা আমাদের সঙ্গে সরকারে ছিল। কিন্তু যখন সমালোচনা করে, তখন আর কী ভাবটা এই যে, তারা কোনোদিন কোনো সরকারে ছিল না, একেবারে নিরপরাধী।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের লড়াইকে বিভ্রান্ত করার অনেক চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তা সফল হয়নি। একবার ভাবুন, এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন যখন অত্যন্ত শক্তিশালী, সেই সময়ে জাতির সাথে বেইমানি করে দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে গিয়েছিল।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ৯০ এর সর্বদলীয় ও ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দ।