ঢাকা: সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-এর চতুর্থ আসর আইসিসিবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে এক্স সিরামিকস গ্রুপ নিয়ে এসেছে আর্কিটেকচারাল কনসেপ্ট বেইজড প্যাভিলিয়ন ‘স্পিরিট অব লাইট’।
জাপানের বিশ্বখ্যাত স্থপতি তাদাও আন্দো এবং তার অনবদ্য সৃষ্টি থেকে অনুপ্রাণিত এই প্যাভিলিয়নটি এবারের এক্সপোর অন্যতম ধারণাভিত্তিক, শিল্পসম্মত ও নান্দনিক ইনস্টলেশন হিসেবে আলাদা মাত্রায় দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্যাভিলিয়নের ডিজাইনটি তৈরি করেছেন এক্স সিরামিকস গ্রুপের সিনিয়র আর্কিটেক্ট মৌসুমি কবির। আলো-ছায়া, কংক্রিট, মিনিমালিজম এবং স্পেস ফিলোসফির নিখুঁত মেলবন্ধন ঘটিয়ে তিনি এ বছর ‘স্পিরিট অব লাইট’-এ তৈরি করেছেন এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
প্যাভিলিয়নের অভ্যন্তরে রয়েছে একটি বিশেষ তাদাও আন্দো ট্রিবিউট কর্নার, যা তার স্থাপত্য ভাবনা, সরলতার সৌন্দর্য এবং আলোর আধ্যাত্মিক ব্যবহারকে সম্মান জানায়।
এক্স সিরামিকস গ্রুপ এই এক্সপোতে তাদের প্রিমিয়াম মাল্টি-ব্র্যান্ড পোর্টফোলিও প্রদর্শন করছে, যার মধ্যে রয়েছে- এক্স মনিকা, এক্স মোনালিসা, এক্স আলেকজান্ডার, এক্স টাইলস অ্যান্ড সেনিটারি এবং এক্স বাথওয়্যার। এছাড়া এ বছরের বিশেষ আকর্ষণ ইতালিয়ান সিরিজ, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত-কংক্রিট, এক্স স্টোন, এক্স স্লেট, উড ট্রেইল এবং প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এক্স বাথওয়্যার।
ইতালিয়ান ডিজাইন হাউসগুলোর সঙ্গে সমন্বিত গবেষণা ও ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে এক্স সিরামিকস নিয়মিতভাবে ইউরোপিয়ান ডিজাইন ও প্রযুক্তিকে বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে আসছে। এই ইতালিয়ান কানেকশন তাদের কালেকশনগুলোকে আন্তর্জাতিক মান, আধুনিক টেক্সচার এবং গ্লোবাল লাইফস্টাইল অনুপ্রেরণায় আরও সমৃদ্ধ করেছে।
এক্স সিরামিক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও মাহীন মাযহার-এর বলেন, ‘স্পিরিট অব লাইট’ আমাদের ডিজাইন দর্শন, নান্দনিকতা এবং মানের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। তাদাও আন্দো থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার মাধ্যমে আমরা স্থাপত্যের গভীরতা, আলোর শক্তি এবং আধ্যাত্মিক সরলতাকে তুলে ধরতে চেয়েছি। পাশাপাশি আমাদের ইতালিয়ান ডিজাইন সহযোগিতা আমাদের কালেকশনকে বিশ্বমানের দিকে আরও এগিয়ে নিচ্ছে।’
ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং ডিরেক্টর মোরশেদ আলম বলেন, ‘এই প্যাভিলিয়নটি শুধু একটি স্টল নয়, এটি একটি অভিজ্ঞতা। এখানে আমরা শিল্প, স্থাপত্য ও পণ্য–উদ্ভাবনকে একসঙ্গে উপস্থাপন করেছি, যা এক্স সিরামিকস-এর ব্র্যান্ড ইভোলিউশনকে নতুন দৃষ্টিতে তুলে ধরে।’