ঢাকা: প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে লিবিয়া থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর আইওএম-এর সহায়তায় ১৭৫ জনকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল গেল ২৬ নভেম্বর ত্রিপলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের সার্বিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত আটক বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেক অভিবাসী অনিয়মিত পথে বিদেশে পাড়ি দিতে গিয়ে চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে এবং মানবপাচারকারীদের কারণে দুঃসহ অভিজ্ঞতার শিকার হন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা ভাগ্যবান যে আল্লাহর অসীম রহমতে সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত তাদের আশ্বস্ত করে জানান, দূতাবাস দ্রুত সময়ে সকলকে দেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে সকলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে আইওএম-এর সহায়তায় ১৭৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রদূত আটক বাংলাদেশিদের দেশে ফিরে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করে অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও জানান, আইওএম-এর সহায়তায় পর্যায়ক্রমে আটক সকল বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দূতাবাস নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় দূতাবাসের পক্ষ থেকে উপস্থিত অভিবাসীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি সাগর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্ধার এবং পরবর্তী মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরণের মানবিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণে উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমন্বয় আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।