ঢাকা: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো আইনের ব্যত্যয় এবং ভোক্তার অধিকারের প্রশ্ন- বলে মন্তব্য করেছেন ‘কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (ক্যাব)-এর সভাপতি ও সাবেক সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, রিফাইনারি বন্ধ করে দেওয়ার মতো বিধান আইনে রয়েছে।
বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্যাব সভাপতি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন নিয়ে বৈঠক ছিল। আইন অনুযায়ী কিছু পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেয়। মূল্য নির্ধারণ কীভাবে করা হবে সেটার একটা ফর্মুলা আছে। কিন্তু মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্যাব-এর সভাপতি হিসেবে আমি যেটা বলতে চাই, যে মূল্যটা বাড়ানো হয়েছে, সেটি অন্যায়ভাবে করা হয়েছে। রিফাইনারি এসোসিয়েশন যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করে তেলের দাম বাড়ায়, আমি বলবো- সেটা আইনের ব্যত্যয়।
তিনি জানান, বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন যে, ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে, আমরা সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি। প্রতিযোগিতা আইন আছে, ভোক্তা অধিকার আইন, যদি কেউ মজুত করে দাম বাড়ায়, সেখানে বিশেষ বিধান আইন প্রয়োগের ব্যবস্থাও আছে। আমরা সেই আইনের প্রয়োগটা দেখতে চাই।
ক্যাব সভপতি বলেন, ‘বৈঠক থেকেই নির্দেশনা গেছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, তারা আজ (বুধবার) থেকেই অপারেশনে নামছে, কোথায় এই ব্যত্যয়টা হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা একটু অপেক্ষা করি, দেখি কী ব্যবস্থা সরকার নেয়।
এখানে সরকারের ব্যর্থতা আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো সরকার বলতে পারবে। আমি লক্ষ্য করেছি ইদানীং মনিটরিংটা খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সরকার এ মুহূর্তে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জে আছে। সরকারের উচিত অন্য যে ইস্যুগুলো আছে, রাজনীতি ও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুর পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য কিন্তু একটি বড় ইস্যু, আমি মনে করি ভোক্তাদের স্বার্থে বাজার মনিটরিংটা আরও জোরদার করা উচিত।