ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজন ও উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে তাকে বিদেশে নেওয়া হবে বলে জানান মেডিকেল বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলে চিকিৎসক জাহিদ হোসেন তার সামনে সর্বশেষ চিকিৎসা আপডেট তুলে ধরেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দেখার পরবর্তীতে উনাকে (খালেদা জিয়া) যদি ট্রান্সফারেবল হয়, আমাদের যদি ট্রান্সফার করার প্রয়োজন পড়ে— মেডিকেল বোর্ড মনে করে, তখনই সেই যথাযথ সময়ে উনাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।’
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বর্তমানে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বড় আন্তর্জাতিক মেডিকেল টিম কাজ করছে। মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এ কিউ এম মহসিন, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক জিয়াউল হক, অধ্যাপক মাসুম কামাল, অধ্যাপক এজেড এম সালেহ, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম এবং ডা. জাফর ইকবাল।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত হয়েছেন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক রফিকউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক জন হ্যামিল্টন ও ড. হামিদ রব। যুক্তরাজ্য থেকে রয়েছেন অধ্যাপক জন প্যাট্রিক, অধ্যাপক জেনিফার ক্রস ও ডা. জুবাইদা রহমান।
ডাক্তার জাহিদ জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার জটিল শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার প্রতিটি চিকিৎসা ধাপ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী এবং ‘ট্রান্সফারেবল’ পরিস্থিতি তৈরি হলেই তাকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে বোর্ড জানায়।