সিলেট: সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাদেশের স্থগিত থাকা আসনগুলোর মধ্যে ৩৬টি আসনে মনোনয়ন ঘোষনা করেন।
প্রথম দফায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা দেওয়া হলেও সিলেট-৪ আসন ফাঁকা ও সিলেট-৫ আসন জোটের প্রার্থীদের জন্য রাখা হয়েছিল। তখন সেখানে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
এর আগে সিলেটের ৬টি আসনের মধ্যে সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এ নিয়ে সিলেটে বেশ জল্পনা চলছিল। সিলেট-৫ আসনে শরীক দলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জন থাকলেও সিলেট-৪ আসনে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন এ নিয়ে বেশ আলোচনা ছিল।
ফাঁকা আসন সিলেট–৪-এর জন্য আরিফুল হক চৌধুরী ছুটে যান ঢাকায়। একের পর এক বৈঠক করেন দলটির নীতিনির্ধারক পর্যায়ে। তারপর সিলেট ফিরে আসেন এবং সিলেট-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা করে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন।
এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। বিশেষ করে দীর্ঘদিন থেকে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাকিম চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকীসহ অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কর্মী ও সমর্থকরা তার বিরোধীতা করে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা অব্যাহত রাখেন।
আরিফুল হক চৌধুরীও এসব সমালোচনায় পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজ নিজে করে যাচ্ছিলেন। গোয়াইনঘাট কোম্পনাীগঞ্জ ও জৈন্তাপুরের আনাচে-কানাচে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এর আগে আরিফুল হক দাবি করে বলেন, দলের হাইকমান্ড থেকে তাকে একাধিকবার সিলেট-৪ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। অবশেষে সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত এই আসনেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন।
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘সিলেট-৪ আসনে আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিএনপি হাইকমান্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি সিলেট চার আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে চাই এবং এই আসনের অসমাপ্ত কাজ করে উন্নয়নের মডেল বানাতে চাই।’ আরিফুল হকের নাম ঘোষণার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তার কর্মী ও সমর্থকরা।
আরিফুল হক চৌধুরী মূলত: সিলেট-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু এই আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে অনেকটা আশাহত হন আরিফ।