উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন
১৪ জুলাই ২০১৮ ১৪:৫৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ড। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের ভিটামিন এ’র অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে এবং ভিটামিন এ প্লাসের পুষ্টির বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৮টায় একযোগে সারাদেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ বছর ক্যাম্পেইনের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৬ লাখ শিশু এবং ১ থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৯ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের সবগুলো ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও স্কুল, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ ঘাট, ট্রেন স্টেশন প্রভৃতি জায়গায় শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
আগের বছরগুলোতে এই ক্যাম্পেইনে কেবল ভিটামিন এ খাওয়ানো হলেও এবার ভিটামিন এ নিয়ে সচেতনতা চালানো হচ্চে। মা ও শিশুর দেহে ভিটামিন এ’র প্রয়োজনীয়তা ও ভিটামিন এ’র উৎস সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে সবাইকে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাউদ্দিন সারাবাংলা’কে বলেন, এখন পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে প্রথম রাউন্ডের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চলছে। অনেকগুলো কেন্দ্র থাকায় প্রাথমিক চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে যেসব এলাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি, সেসব এলাকায় কেন্দ্রগুলোতে একটু ভিড়ও বেশি।
তিনি জানান, ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। এটি শিশুর দেহে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। যদি কোনো শিশুর বমি, বমিভাব, মাথা ব্যাথার লক্ষণ প্রকাশ পায়ও, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে। তবে মারাত্মক অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে যদি কোনো শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাওয়া থেকে বাদ পড়ে যায়, তবে আগামীকাল নিকটস্থ কাউন্সিলরের অফিসে গিয়ে তাকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।
সারাবাংলা/এমএ/টিআর