ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে তিনজনকে আহত করার মামলার প্রধান অভিযুক্ত শাকিল মিয়া (৩৩) এবং তার সহযোগী আরিয়ান আহমেদ (২৪)–কে ভারত থেকে আটক করে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি দুজনকে কসবা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
গ্রেফতার শাকিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে, আরিয়ান পৌর এলাকার মধ্যপাড়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে। শাকিলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৮ নভেম্বর কান্দিপাড়া এলাকায় শাকিলের গুলিতে তিনজন আহত হন। এরপর রাতেই সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনকে র্যাব গ্রেফতার করেছে। গুলির ঘটনার পর থেকেই শাকিল পলাতক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভারতের ৪৯ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা সীমান্ত এলাকা থেকে শাকিলসহ দুইজনকে আটক করে। পরদিন কসবা সীমান্তের ২০৩৯ নম্বর পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে বিজিবি তাদের কসবা থানায় সোপর্দ করে এবং পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) (তদন্ত) রিপন দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান জানান, বিএসএফ দুজনকে হস্তান্তর করেছে এবং পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ও ছাত্রদল নেতা শাকিল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালান পণ্য আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। ২৮ নভেম্বর রাতে শাকিলের গুলিতে তিনজন আহত হওয়ার পর দেলোয়ার হোসেন অস্ত্রধারী দলবল নিয়ে মহড়া দিতে বের হলে সাদ্দাম নিহত হন। সাদ্দামের পরিবারের অভিযোগ দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা ডেকে নিয়ে সাদ্দামকে হত্যা করেন।
ঘটনার পর শাকিল আখাউড়া পৌর এলাকার কলেজ পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় লুকিয়ে ছিলেন। পুলিশ সেখানে অভিযান চালালেও তাকে পায়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি ভারতে পালিয়ে যান বলে জানা যায়।