ব্রাহ্মণবাড়িয়া: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি হোক বা এপ্রিলে, গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনেই এককভাবে প্রার্থী দেবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের প্রয়োজনে জোট হলে কোথায় আমাদের জনসমর্থন আছে, সে আসনগুলো নিশ্চিত করেই আমরা জোট করব। তবে, ২-৪টা আসনের লোভে আমরা কারও সঙ্গে জোটে যাব না।’
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে দলীয় প্রার্থী পরিচয় করিয়ে দিতে স্থানীয় গণঅধিকার পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনও তার কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন করেছে। চলতি মাসের ১১ তারিখ তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতা থেকে যদি কোনো বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সরকার ও নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করতে পারে। অন্যথায় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে।
কিছু রাজনৈতিক নেতার হুমকি-ধমকি ও আধিপত্য বিস্তারের প্রবণতার সমালোচনা করে নূর বলেন, ‘১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তেই চুরমার হয়েছে। জনগণের আন্দোলনে নেতারা সীমান্ত, নদী-নালা, হেলিকপ্টার—যেদিক দিয়ে পারে পালিয়েছে। জনগণের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ালে তাদের পরিণতিও একই হবে।’ তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে সংযত ও সহনশীল থাকার আহ্বান জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসান।
বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হাসান তপু, নবীনগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কাইয়ূম প্রমুখ।
এ সময় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেন নুরুল হক নুর।