ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় লোকোমোটিভ রক্ষনাবেক্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে এই প্রথম কর্মী পর্যায়ে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদান প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকোমোটিভ রক্ষনাবেক্ষণ কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণে বিভিন্ন লোকোমোটিভ কারখানা ও লোকোসেডের মোট ১০ জন এবং সমন্বয়ক হিসেবে ২ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণটি দক্ষিণ কোরিয়ার বুশানে কোরিয়া রেল ওয়ার্কসপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থ সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় ইতপূর্বে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কসপে দুই দফায় মোট ষাট (৬০) জন কর্মী অংশ নেন। কোরিয়ান প্রশিক্ষকগণ তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়েকে মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থী ও সমন্বয়করা হলেন- মো. রেজওয়ান উল-ইসলাম, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো), চট্টগ্রাম; নিরঞ্জন সিকদার, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল); শহিদুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল); মো. মোজাম্মেল হক, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি (গ্রেড-১); মো. মামুনুর রশিদ, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি (গ্রেড-১); মো. শামীম হোসেন, ইলেকট্রিশিয়ান (গ্রেড-১); শাহিনুর আলম, ইলেকট্রিশিয়ান (গ্রেড-১); হারুন অর রশিদ, ফিটার গ্রেড-১; মো. সৈয়দ ওয়াকত হোসেন, ফিটার গ্রেড-১; মো. সালাউদ্দিন, ফিটার গ্রেড-১; রাসেল আলম, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানান এবং আন্তরিকভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া ও প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের অনুরোধ জানান। তিনি দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীর উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এবং প্রকল্প পরিচালককে ধন্যবাদ জানান। রেল সংশ্লিষ্টরা মনে করছে, কর্মী পর্যায়ে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে আন্তরিকভাবে কাজ করতে উৎসাহ যোগাবে। তারা এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।