ঢাকা: বিশ্বব্যাপী শিল্পখাতে শীর্ষস্থানীয় টোটাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারটেক বাংলাদেশে তাদের পরীক্ষণ ও সার্টিফিকেশন সক্ষমতা আরও বিস্তৃত করেছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। এদিন গাজীপুরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের অত্যাধুনিক স্থাপনায় হার্ডলাইন্স পণ্য, খেলনা এবং ক্যালিব্রেশন পরীক্ষাগার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এই সক্ষমতা সম্প্রসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সম্প্রসারণ ইন্টারটেক বাংলাদেশের অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করে—যা উৎপাদক, রফতানিকারক ও খুচরা ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বিশ্বমানের গুণগত মান ও কমপ্লায়েন্স সমাধান নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। নতুন পরীক্ষাগারগুলো খেলনা, হোমওয়্যার, কুকওয়্যার, প্যাকেজিং, লাগেজ, সিরামিকস, তাঁবু এবং অন্যান্য হার্ডলাইন পণ্যের পরীক্ষণ, পরিদর্শন ও সনদায়ন সেবা দেওয়া। এসব সেবা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান—EN 71, ASTM F963, CPSIA এবং ISO 8124—অনুসরণ করে পণ্যের নিরাপত্তা, গুণগত মান এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশযোগ্যতা নিশ্চিত করবে।
ইন্টারটেকের দক্ষিণ এশিয়ার রিজিওনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় কাপুর বলেন,
‘বাংলাদেশে আমাদের হার্ডলাইন্স পণ্য, খেলনা এবং ক্যালিব্রেশন সক্ষমতার এই সম্প্রসারণ দক্ষিণ এশিয়ার উৎপাদনশীলতার উৎকর্ষে ইন্টারটেকের ধারাবাহিক বিনিয়োগকে প্রতিফলিত করে। বৈশ্বিক দক্ষতাকে গ্রাহকদের আরও কাছাকাছি এনে আমরা আমাদের গ্রাহকদের স্থানীয়ভাবে করেও বৈশ্বিক মানদণ্ড পূরণ করতে পারে এবং সর্বোচ্চ নির্ভুলতার সঙ্গে পরিমাপ নিশ্চিত করতে সহায়তা করছি।’
ইন্টারটেক বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নেয়ামুল হাসান বলেন, ‘হার্ডলাইন্স পণ্য, খেলনা এবং ক্যালিব্রেশন পরীক্ষাগার সংযোজন বাংলাদেশকে একটি নির্ভরযোগ্য বৈশ্বিক সোর্সিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে আরও শক্তিশালী করেছে। নতুন এই সুবিধাগুলো আমাদের সেবার গতি বাড়াবে, স্থানীয়ভাবে সেবা দেওয়াকে আরও সহজ করবে এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য বৈশ্বিক কমপ্লায়েন্স বজায় রাখতে সহায়তা করবে।’
ইন্টারটেক বাংলাদেশ তার সমন্বিত অ্যাস্যুরেন্স, টেস্টিং, ইন্সপেকশন এবং সার্টিফিকেশন (Assurance, Testing, Inspection and Certification-ATIC) পদ্ধতির মাধ্যমে স্থানীয় শিল্পকে নিরাপত্তা, গুণগত মান এবং স্থায়িত্বের সঙ্গে মানদণ্ড পূরণে সহায়তা করে। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারটেক বাংলাদেশ বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ৮০০ জনেরও বেশি পেশাজীবী নিয়ে কাজ করছে।
প্রতিষ্ঠানটি তৈরি পোশাক, চামড়া ও জুতা, ভোক্তা পণ্য, খাদ্য, পেট্রোলিয়াম, পেট্রোকেমিক্যাল, কৃষিজ পণ্য এবং সরকারি চুক্তির আওতায় প্রি-শিপমেন্ট পরিদর্শনসহ বিভিন্ন খাতে সেবা দিয়ে আসছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি শিল্প-কারিগরি সেবা, উচ্চমানের প্রকৌশল প্রকল্প, আন্তর্জাতিক সিস্টেম সার্টিফিকেশন, প্রশিক্ষণ, এবং এখন বিশেষায়িত হার্ডলাইন্স পণ্য, খেলনা এবং তাঁবু পরীক্ষণ সেবা দিচ্ছে।