রংপুর: রংপুর নগরীর আমাশু কুকরুল এলাকায় কয়েক লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী বিভাগীয় ইজতেমার প্রথম দিনেই বয়সজনিত জটিলতা ও ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্টে দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ইজতেমা মাঠে মৃত্যুবরণ করেন তারা। রংপুর মেট্রোপলিটন পশুরাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইদুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত মুসল্লিরা হলেন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সাঈদুর রহমান এবং টাঙ্গাইল জেলার তারা মিয়া। তারা মিয়া ৪০ দিনের চিল্লায় রংপুর এসে ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন। দুপুরে মৃত্যুর পর ইজতেমা ময়দানে জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, বিস্তৃত মাঠে হাজার মুসল্লির সমাগমে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত থেকে ইজতেমা এলাকার প্রতিটি অংশ পূর্ণ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে আব্দুল কাদেরের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমা।
আয়োজক কমিটির তথ্য অনুসারে, রংপুর বিভাগের আট জেলার তাবলিগের সাথিরা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার ৪০ দিনের চিল্লায় থাকা ব্যক্তিরা ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হয়েছেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, ‘প্রথমবার বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এই ইজতেমা রংপুরের প্রথম বিভাগীয় পর্যায়ের আয়োজন। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।