ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণভোট অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করল।
এদিকে তফসিল ঘোষণার পর পরই কঠোর অবস্থান নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীর আইনশঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এই সংস্থাটি বলছে, তফসিল ঘোষণার পর ঢাকা মহানগর এলাকায় কেউ কোনো দাবি নিয়ে সড়কে অবস্থান করতে পারবে না। কোনো আন্দোলন চলবে না। কোনো দাবি দাওয়ার অজুহাতে রাস্তা অবরোধ করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে ঢাকা মহানগরীতে কাউকে কোনো প্রকার দাবি নিয়ে আন্দোলন, সড়ক অবরোধ এবং ঘেরাও কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না। এজন্য সকল ডিসি ও ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা রয়েছে। এটি বিজ্ঞপ্তি আকারে জনসাধারণের সুবিধার্থে বলা হয়েছে। জনসাধারণকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘কেউ আইন অমান্য করে দাবি আদায় বা আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধ, অবস্থান ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা মহানগর এলাকায় ডিএমপি কমিশনার অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী সকল প্রকার আন্দোলন, অবরোধ ও মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
এদিকে ডিএমপি বলছে, পুরো জাতি এই মুহূর্তে নির্বাচনি হাওয়ায় ভাসছে। ভোটকেন্দ্রিক ছাড়া অন্যকোনো দাবি-দাওয়া বা আন্দোলনের নামে রাস্তায় নামা যাবে না। সব ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম নিষিদ্ধ থাকবে।
অপরদিকে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা শহরে কোথাও কোনো আন্দোলন করা যাবে না- মর্মে নির্দেশনা রয়েছে। ভোটের আগে সবধরনের আন্দোলন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনি আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর দেশে অন্য কোনো মুভমেন্ট নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ঢাকা শহরেও কোনো প্রকার আন্দোলন চলবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর অবস্থান যাবে ডিএমপি।’