‘শান্তির জন্য পরিবর্তন- পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি’
১৫ জুলাই ২০১৮ ১০:৫৪
।। আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের খসড়া তৈরির কাজ শেষ করেছে। খুব শিগগিরই ইশতেহারের খসড়াটি চূড়ান্ত করতে তা প্রেসিডিয়াম বৈঠকে তোলা হবে।
সূত্র জানায়, ‘শান্তির জন্য পরিবর্তন- পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। ইসলামী মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার মাধ্যমে সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা পুনঃস্থাপন, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ থেকে মুক্ত করা, মাদক নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদানসহ ১৮টি বিষয় থাকছে ইশতেহারে।
এসব বিষয় নিয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, পুরো কার্যক্রম শেষ হয়নি, তবে একটি খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। খুব সম্ভব খসড়াটি পার্টির চেয়ারম্যান এখনো চূড়ান্তভাবে দেখেননি। তিনি দেখার পর সংযোজন-বিয়োজন আসতে পারে। আমি এখনো খসড়া ইশতেহারের কপি দেখিনি। এর আগে নির্বাচনী ইশতেহার আমি করেছিলাম। এবার একটি কমিটি করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনী ইশতেহারের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির শাসন আমলে দেশে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছিল- সেগুলো নিয়ে বই এবং প্রামাণ্য চিত্র সিডি আকারে প্রকাশ করা হবে । প্রচার-প্রকাশনার মধ্য দিয়ে জনমত গড়ে তোলার জন্য জাতীয় পার্টি একটি মেগা প্রকল্পের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য দলটির মনোনীত প্রার্থীদের ব্যবহার করা হবে। প্রার্থীদের মাধ্যমে সারাদেশে বই এবং সিডি বিলি করা হবে। এতে এরশাদের শাসন আমলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি থাকবে। আরো থাকবে আগামীতে ক্ষমতায় গেলে তখন কী কী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করা হবে। জনগণের কাছে পল্লীবন্ধু এরশাদের সেই অঙ্গীকারনামা পৌঁছে দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে প্রাদেশিক সরকার, নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার ও পূর্ণাঙ্গ উপজেলা প্রবর্তন, জনকল্যাণ ও প্রযুক্তিনির্ভরতার বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ আইন প্রণয়নের বিষয়টি উল্লেখ থাকছে নির্বাচনী ইশতেহারে।
এসব বিষয় নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করা হবে। এরশাদ পরবর্তী সরকারের সময়গুলোতে দেশে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকারের শাসন আমলেও দেশে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে- আর তা সম্ভব হয়েছে জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকার কারণে।আমরা সংসদে সরকারের ভালো কাজকে ভালো বলেছি। জনগণের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছি।
সারাবাংলা/এটি/জেডএফ