চট্টগ্রাম ব্যুরো: নিরাময়ের চেয়ে রোগ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, সারা বাংলাদেশ হাসপাতাল বানিয়ে ফেললেও রোগীর জায়গা হবে না।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর কাট্টলীতে ‘চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট ভবন নির্মাণ’ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘সারা বাংলাদেশকে যদি আমরা হাসপাতালও বানিয়ে ফেলি, তাহলেও সব রোগীকে জায়গা দেওয়া সম্ভব না, যদি আমরা প্রিভেনশনে না যাই। কাজেই দয়া করে সবাই মিলে আমরা প্রিভেনশনে যেতে পারি। ডাক্তার, নার্স, সাধারণ মানুষ আমরা যে যেখানে আছি, রোগ প্রতিরোধে চিকিৎসার চেয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে।’
স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের জন্য ১৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের যে জায়গায় চলে যাওয়ার কথা ছিল, আমরা সেখান থেকে অনেক পিছিয়ে গেছি। আমাদের চেষ্টা করতে হবে সমন্বিতভাবে, দল-মত নির্বিশেষে আমরা যেন কাজগুলোকে এগিয়ে নিতে পারি। আমরা সরকারে আছি সম্ভবত আর দু’মাস। খুব কম সময়। এই অল্প সময়ে আপনাদের রিকোয়ারমেন্টগুলো যতদূর পারা যায় পূরণ করার চেষ্টা করব।’
এর আগে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নগরীর লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের আলোচনা সভায় উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে ডায়ালাইসিস একটি গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে রোগীদের আর্থিক চাপে পড়তে হয়। এজন্য চিকিৎসার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে প্রিভেনশন। মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে চট্টগ্রামের মানুষের উচিত গরুর মাংসের প্রতি আকর্ষণ কমানো এবং পান, জর্দা, সিগারেট পরিহার করা।’
এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি এম এ সালাম, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার দাশ ছিলেন।