Sunday 14 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জেআইসি সেলে গুমের মামলা: অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৮ ডিসেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৪ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:১৪

ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: আওয়ামী লীগের টানা শাসনামলে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টার (জেআইসি) সেলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশের দিন পিছিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক–বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আগামী ১৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

এদিন অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার কথা থাকলেও ট্রাইব্যুনাল নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে গত ৯ নভেম্বর উপস্থিত তিন আসামির অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন তাদের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। তিনি বেআইনি আটক, অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগসহ চারটি গ্রাউন্ডে অব্যাহতির আবেদন জানান। ট্রাইব্যুনাল তিনটি গ্রাউন্ড বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানান। অপর গ্রাউন্ড ছিল গুম সংক্রান্ত। দুলুর শুনানি শেষে পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হাসান ইমাম, আমির হোসেনসহ অন্যরা শুনানি করেন।

মামলায় প্রসিকিউশন পাঁচটি অভিযোগ উত্থাপন করেছে। গত ৭ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জেআইসি সেলে সরকারবিরোধী মতাদর্শের ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গুম ও নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ২৬ জন গুমের শিকার হন। এসব ঘটনায় ১৩ আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগে চার্জ গঠনের আবেদন করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া তিন সেনা কর্মকর্তা হলেন— ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্য আসামিরা হলেন— তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ এবং লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হক।

এর আগে, ২৩ নভেম্বর পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। স্বেচ্ছায় মামলা পরিচালনার জন্য শেখ হাসিনার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না নিয়োগ পেলেও শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি ৩ ডিসেম্বর সরে দাঁড়ান। পরে শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে মো. আমির হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজির করতে সাত দিনের মধ্যে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে ৮ অক্টোবর ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন, যা আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

সারাবাংলা/টিএম/ইআ
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর