ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ ও গণভোটের আগে বা পরে সব অনিয়ম তদন্ত করে শাস্তি দিতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে ৩০০ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন বিষয়ক-১) সই করা এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০টি নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি গঠন করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি মাঠ পর্যায়ে ভোটের অনিয়ম অনুসন্ধান ও বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এতে আরও বলা হয়, ‘নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি-এর কর্মকর্তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনি এলাকায় এই নিয়োগপত্রের বিপরীতে সিনিয়র সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা বরাবর যোগদানপত্র দাখিল ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করবেন। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত ‘নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি’-এর কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে নির্বাচন কমিশনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বর্ণিত ‘নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি’ কর্তৃক দায়িত্ব পালনকালে উপরিউক্ত নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবে। ওই কমিটি দায়িত্ব পালনকালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩, ৭৫ ও ৭৭ এর আওতাধীন কোন অপরাধ উক্ত আদেশের ৯১ কক অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করতে পারবে।
নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি (Electoral Enquiry and Adjudication Committee)’ কর্তৃক দায়িত্ব পালনকালে ১ জন বেঞ্চ সহকারী/ স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহায়ক কর্মচারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবে।