Monday 15 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শকুনেরা আবারও স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে খামচে ধরার চেষ্টা করছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:৩৬ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:৩৮

বক্তব্য দিচ্ছেন এনসিপি নেতা সারজিস আলম। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও কিছু ‘শকুন’ আবারও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে খামচে ধরার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ে আমরা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু শকুনেরা আবারও আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে গ্রাস করতে চাইছে।’

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সারজিস আলম বলেন, ‘আবু সাইদের বুকে গুলি চালিয়ে আমাদের দমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। একইভাবে হাদির ওপর হামলা করে আমাদের স্পিরিট ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এ দেশের লাখো হাদি বেঁচে থাকতে সেই চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশ বারবার প্রমাণ করেছে-রক্ত দিয়ে হলেও সে মাথা নত করে না। আজকের এই সমাবেশ সেই প্রতিরোধেরই ধারাবাহিকতা।’

ভারত প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘হাসিনা ও হাদির ওপর হামলাকারীদের আশ্রয় দিয়ে যদি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়, তা কখনোই সফল হবে না। ভারতীয় হাইকমিশন যদি বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়া ভারত সরকারের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে এই দেশে সেই বিল্ডিং থাকার নৈতিক অধিকার নেই।’

সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, হাদির ওপর হামলা কেবল একজন রাজনৈতিক কর্মীর ওপর আঘাত নয়, এটি গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।

এদিকে, শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, সীমান্ত দিয়ে মানুষ পাচারকারী চক্রের দুজন সদস্য এবং ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও আরও এক নারী।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে আসা দুই আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।

সমাবেশ থেকে দ্রুত বিচার, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং রাজনৈতিক সহিংসতার অবসানের জোর দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

মহান বিজয় দিবস আজ
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০০:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর