Wednesday 17 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্টের ১০ম সিজন উদ্বোধন

স্পেশাল‌ করেসপন্ডেন্ট
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৬ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৭

টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্টের ১০ম সিজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা।

ঢাকা: বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতে তরুণ উদ্ভাবন ও গবেষণা-ভিত্তিক সমাধান তৈরির অন্যতম প্রভাবশালী প্ল্যাটফর্ম টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট সিজন ১০ উদ্বোধন করেছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এর উদ্বোধন করা হয়।

এক দশকের পথচলাকে স্মরণীয় করে তুলতে এবারের সিজনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এ লিগ্যাসি অব ইনোভেশন’। যেখানে সাসটেইনেবিলিটি রাখা হয়েছে মূল ফোকাস হিসেবে।

এর আগে, গত ১২ নভেম্বর সফলভাবে সমাপ্ত হয় টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট সিজন ৯। ধারাবাহিক সাফল্যের এই যাত্রা বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইকোসিস্টেমে গবেষণা, উদ্ভাবন এবং ইন্ডাস্ট্রি–অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতার ক্ষেত্রে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট এর ভূমিকা আরও সুদৃঢ় করেছে।

বিজ্ঞাপন

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পনেতা, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক এবং অংশীদারদের সক্রিয় উপস্থিতি টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল ভ্যালু চেইনে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্টের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।

টেক্সটাইল টুডে আয়োজিত এই কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলস (বুটেক্স)-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জুলহাস উদ্দিন। তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট সিজন ১০ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মিজানুর রহমান, আইটিইটি-এর কনভেনার ইঞ্জিনিয়ার এহসানুল করিম কায়সার, পুমা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-এর কান্ট্রি ম্যানেজার মঈন হায়দার চৌধুরী এবং অকো-টেক্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জি. আবদুস সোবহান।

টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট সিজন ১০-এর জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি-এর উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ইঞ্জি. আইয়ুব নবী খান এবং মেম্বার সেক্রেটারি হিসেবে আছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলস-এর সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন শিয়াক।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্টের নতুন লোগো উন্মোচন, যা গত এক দশকে এই প্ল্যাটফর্মের বিবর্তন ও অগ্রগতির প্রতীক।

সিজন ১০-এ সেন্ট্র টেক্স লি. টাইটেল স্পনসর হিসেবে যুক্ত রয়েছে। আর্করোমা পাওয়ার্ড বাই স্পনসর, ডাইসিন গ্রুপ ও সিএইচটি প্লাটিনাম স্পনসর, আপনা অর্গানিকস প্রা. লি. ডায়মন্ড স্পনসর, সামিট ডাই কেম গোল্ড স্পনসর, ডেনিম সলিউশন সিলভার স্পনসর এবং পিউর কেমিক্যাল ব্রোঞ্জ স্পনসর হিসেবে সহযোগিতা করছে।

অংশগ্রহণকারীরা ইঞ্জিনিয়ার আখতার হোসেন রিসার্চ স্কলারশিপ-এর সুবিধা পাবেন। ইঞ্জিনিয়ার আখতার হোসেন ছিলেন সুইস কালারস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং টেক্সটাইল শিল্পের একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব। কোটস বাংলাদেশ প্রাইজ মানি স্পনসর এবং এসজিএস লিমিটেড কোয়ালিটি পার্টনার হিসেবে যুক্ত রয়েছে।

একটি বিশেষ পার্টনার্স সেশন-এ বৈশ্বিক কেমিক্যাল ব্র্যান্ড, টেক্সটাইল সল্যুশন প্রোভাইডার এবং ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রুপের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এই সেশনে উদ্ভাবনী ধারণাকে শিল্পে প্রয়োগযোগ্য সমাধানে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সম্মানিত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটার মাধ্যমে সমাপ্ত হয় যা সিজন ১০-এর মাইলফলক যাত্রাকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করে।

সিজন ১০-এর মাধ্যমে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট সাসটেইনেবিলিটিকে উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে যা বৈশ্বিক অগ্রাধিকার যেমন রিসোর্স এফিসিয়েন্সি, সার্কুলারিটি, ক্লিনার প্রোডাকশন এবং দায়িত্বশীল উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সিজনের লক্ষ্য এমন সমাধান অনুপ্রাণিত করা, যা উৎপাদনশীলতা ও গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদি শিল্প স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

দশম সিজনে পদার্পণের মাধ্যমে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট আগামী প্রজন্মের টেক্সটাইল পেশাজীবী ও উদ্ভাবকদের ক্ষমতায়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে যাতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল শিল্প ভবিষ্যৎ প্রস্তুত, দায়িত্বশীল এবং বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক থাকে।

টেক্সটাইল টুডের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট দেশের একটি অনন্য জাতীয় প্ল্যাটফর্ম, যা শিক্ষার্থী, গবেষক, শিল্প বিশেষজ্ঞ এবং নির্মাতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। এই উদ্যোগ তরুণ মেধাকে টেক্সটাইল, অ্যাপারেল, কেমিক্যাল, সাসটেইনেবিলিটি ও অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস সংক্রান্ত বাস্তবসম্মত ও শিল্প-প্রাসঙ্গিক সমাধান উদ্ভাবনে উৎসাহিত করে।

বছরের পর বছর ধরে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট বহু প্রতিশ্রুতিশীল উদ্ভাবককে চিহ্নিত ও লালন করেছে, যাদের অনেকের ধারণা শিল্পে বাস্তবায়িত হয়েছে বা আরও উন্নত করা হয়েছে। গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে এই প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের বৈশ্বিক টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।