Thursday 18 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:০০ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০৮

শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ। ছবি: সারাবাংলা

রাজবাড়ী: সারাদেশ যখন ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের উল্লাসে উচ্ছ্বসিত তখনও রাজবাড়ীকে শত্রুমুক্ত করতে যুদ্ধ করছিলেন এলাকার সূর্যসন্তানরা। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের পর থেকে রাজবাড়ীতে অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে ওঠে বিহারি, পাকিস্তানি হানাদার ও অবাঙালিরা।

রেলের শহরের সুবাদে রাজবাড়ীতে ১৫ থেকে ২০ হাজার বিহারির বসবাস ছিল। শহরের নিউ কলোনি, আঠাশ কলোনি, স্টেশন কলোনি ও লোকোশেড কলোনি এলাকায় ছিল তাদের বসবাস। আর এ কারণেই রাজবাড়ীতে পাকিস্তান আমলে বিহারিদের খুব দাপট ছিল। বিপরীতে বাঙালিরা ছিল অসহায়। পুরো রেলটাই ছিল তখন তাদের দখলে।

পাকিস্তানি বাহিনী রাজবাড়ীতে প্রবেশের পর বিহারিরা তাদের সঙ্গে যোগসাজেশে নির্বিচারে চালাতে থাকে জ্বালাও-পোড়াও এবং গণহত্যা। ১৬, ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর তুমুল যুদ্ধ হয় বিহারিদের সঙ্গে। এ যুদ্ধে মাগুরা,কুষ্টিয়া, পাংশা, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন। রাজবাড়ী শত্রু মুক্ত করতে বেগ পেতে হয় মুক্তিযোদ্ধাদের। বিহারি ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা হয় ১৯ নারীকে। ১৮ ডিসেম্বর পরাজয় মেনে আত্মসর্মপণ করে বিহারিরা। যুদ্ধে রফিক, শফিক ও সাদিকসহ সাত মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজবাড়ী সদর উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশ স্বাধীন ৫৪ বছর হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের যে আকাঙ্ক্ষা তা আজও পূরণ হয়নি। এখন আমরা আশা করছি সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচনে যে দলই ক্ষমতায় আসবে তারা আমাদের যথাযথভাবে সম্মনিত করবে। এছাড়া, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের যেসকল কাজ অসমাপ্ত রায়েছে সুগুলো সমাপ্ত করবে।’

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজবাড়ী জেলা ইউনিট কমান্ডের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা বাকাউল আবুল হোসেন বলেন, ‘১৬ তারিখে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করলেও রাজবাড়ীতে ওইদিনও যুদ্ধ হয়েছে। কারণ, এখানে অসংখ্য বিহারি ছিল। রাজবাড়ী ছিল রেলের শহর। লোকোশেডে যেখানে বদ্ধভূমি তৈরি করা হয়েছে, সেখানে একটি বড় ওয়ার্কশপ ছিল। এখানে একটা বড় ডিপো ও জংশন ছিল। এখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন যেত। এই ট্রেনে বিভিন্ন স্থান থেকে যেসকল যাত্রী আসতো তাদেরও বিহারিদের কবলে পড়ে জীবন দিতে হয়েছিল।’