ঢাকা: নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং দায়িত্বশীল নাগরিকত্ব বিষয়ে সচেতনতা ও নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত হলো ‘রাইজ উইথ ডিগনিটি: এমপাওয়ারিং উইমেন থ্রু স্কিলস, সেফটি অ্যান্ড সলিডারিটি’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনা সভা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে আয়োজন করা হয় থিম্যাটিক ডায়ালগ—‘ফ্রম অ্যাওয়ারনেস টু লিডারশিপ: এডুকেটেড ইয়ুথ, উইমেনস রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবল সিটিজেনশিপ’। আয়োজন করে হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা (এইচএসকেএস)।
অনুষ্ঠানে সুখী-গ্রামীণ হেলথটেক লিমিটেড, একটি উদ্ভাবনী ই-হেলথ প্ল্যাটফর্ম, যা স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজ, ডিজিটাল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং হিউম্যানি ওয়াচের ব্যবস্থাপনা ও সামগ্রিক সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন শুধু একটি সামাজিক লক্ষ্য নয়, এটি টেকসই উন্নয়নের একটি অপরিহার্য শর্ত।’ ডিজিটাল যুগে নারীর নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত সচেতনতা, নীতিগত সহায়তা এবং সামাজিক সংহতি গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তারা। একইসঙ্গে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তরুণদের নৈতিক নেতৃত্ব, তথ্যভিত্তিক অংশগ্রহণ এবং মানবিক মূল্যবোধ চর্চার আহ্বান জানানো হয়।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. খোরশেদ আলম, ইউএনডিপি বাংলাদেশের জেন্ডার টিম লিডার শারমিন ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের গভর্ন্যান্স স্পেশালিস্ট রিজওয়ানা তাবাসসুম, হিরোজ ফর অল’র ফাউন্ডার ও প্রেসিডেন্ট ডা. রেহনুমা করিম ও গ্রামীণ হেলথটেক লিমিটেডের চিফ টেকনোলজি অফিসার ও চিফ বিজনেস অফিসার মোহাম্মদ সোলাইমুন রাসেল।
বক্তারা তাদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ বিশ্লেষণের মাধ্যমে নারীর অধিকার, সুশাসন, ডিজিটাল সেফটি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সালাউদ্দিন আহমেদ রেজা।
অনুষ্ঠান শেষে আয়োজক প্রতিষ্ঠান হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থার কো-ফাউন্ডার এবং প্রেসিডেন্ট জানান, নারীর ক্ষমতায়ন, নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল নাগরিকত্ব নিয়ে এ ধরনের আলোচনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, আজকের এই সংলাপ শিক্ষিত তরুণ সমাজকে সচেতনতা থেকে নেতৃত্বের পথে এগিয়ে নিতে এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।