ঢাকা: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিপিজুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিএনপির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকের পতনের পর আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ফ্যাসিবাদ হাসিনার অপশক্তির অংশ হিসেবেই শরিফ ওসমান হাদির ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়, যার পরিণতিতে তার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এটি একটি জঘন্য রাজনৈতিক হত্যা।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বারবার এ ধরনের রক্তক্ষয়ী ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে দেশ ও জাতিকে ভয়াবহ সংকটে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দোষী দুর্বৃত্তদের কঠোরভাবে দমন না করলে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার চরম হুমকির মুখে পড়বে। দেশ ও মানুষের জানমাল রক্ষায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। একই সঙ্গে নিহত শরিফ ওসমান হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।