চট্টগ্রাম ব্যুরো: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিক্ষোভ সমাবেশে করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১ টার দিকে জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। তারপর সোহরাওয়ার্দী হল, আলাওল হল ও শহিদ মিনার প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্টে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ‘ভারতের আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘লাল জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কব’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।
সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা যুগে যুগে দেখেছি ফ্যাসিবাদীরা, জঙ্গিবাদীরা বিপ্লবীদের গুপ্তভাবে হত্যা করে। যুগে যুগে যারা ফ্যাসিবাদ, জুলমবাজ এবং কালচারাল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তখন সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হত্যা করার জন্য নীল নকশা করেছে। হাদিকেও সেভাবেই হত্যা করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের পর অনেক জুলাই যোদ্ধা নৈতিকতা বিসর্জন দিলেও আমাদের নেতা হাদি তার নৈতিকতার সর্বোচ্চ স্থান ধরে রেখেছে।’
সমাবেশে চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম রনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে অগ্রভাগে থেকে যারা কাজ করেছে তাদের মধ্যে শরিফ ওসমান হাদি অন্যতম। মধ্য যুগীয় কায়দায় তার মাথায় গুলি তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই ক্ষতি হয়তো বাংলাদেশ আর কখনো পূরণ করতে পারবে না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যারা কাজ করবেন তাদের পেছনে অন্যতম ভূমিকা পালনকারী হিসেবে থাকবেন ওসমান হাদি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওসমান হাদির জনপ্রিয়তা যখন আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা থেকে শুরু করে যখন গ্রামে গঞ্জে পৌঁছে যায়, তখন একটি পক্ষ তা মেনে নিতে পারেনি। ফ্যাসিবাদী খুরি হাসিনা ও ভারতের যৌথ পরিকল্পনায় এবং যারা ভারতীয় আধিপত্য কায়েম করতে চায়, তাদের নীলনকশায় তাকে শহিদ করা হয়েছে। আমরা আহ্বান জানাতে চাই, সরকার দ্রুত সময়ে মধ্যে যদি হত্যাকারীদের দ্রুত বের করতে না পারে তাহলে মসনদে বসে থাকার নৈতিক কোনো অধিকার নাই।’