ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারতের হাইকমিশনের কার্যালয় ও বাসভবনে হামলা, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অগ্নিসংযোগ, উত্তরা ও রাজশাহীতে সহিংসতা এবং ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু যুবককে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এসব নৃশংস ঘটনা প্রমাণ করে একটি চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।’
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি অকালে মৃত্যুবরণ করেন।’ এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুকে অজুহাত করে মধ্যরাতে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়, যার ফলে সাংবাদিকদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে। এ ছাড়া নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবিরের ওপর হামলা, ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।‘
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের নাকের ডগায় এসব ঘটনা ঘটলেও তাদের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। এর ফলে দেশের ভাবমূর্তি দেশ-বিদেশে ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি শান্তিকামী জনগণের পক্ষে ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র ধ্বংস হতে দেওয়া হবে না।’ ফ্যাসিবাদ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে যে ঐক্যের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন আদায় করা হয়েছে, সেই ঐক্য আবারও গড়ে তুলতে সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এসব ঘটনাকে পরিকল্পিত নৈরাজ্য সৃষ্টির অংশ উল্লেখ করে দেশপ্রেমিক ও নৈরাজ্যবিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।