ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘাত বা যুদ্ধের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
সাক্ষাৎকারে যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা নাকচ করছি না। ভেনেজুয়েলার জলসীমার কাছে আরও তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করার পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।‘ তবে যুদ্ধের নির্দিষ্ট সময়সূচি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এটা নির্ভর করছে তাদের আচরণের ওপর। তারা যদি বোকামি করে চলতে থাকে, তবে তাদের জাহাজগুলো আমাদের বন্দরে (জব্দ হয়ে) নোঙর করবে।’
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করা তার চূড়ান্ত লক্ষ্য কি না—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘মাদুরো ভালো করেই জানেন আমি কী চাই। অন্য সবার চেয়ে তিনিই এটা ভালো বোঝেন।’
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার উপকূলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী তেলবাহী ট্যাংকারগুলোর ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একটি বড় তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে। তথ্যমতে, বর্তমান উত্তেজনা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনী ভেনেজুয়েলা উপকূলে ২৮টি নৌযানে হামলা চালিয়েছে, যাতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই অবস্থান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ২০২৪ সালের নির্বাচনি প্রচারণায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিদেশের সংঘাত থেকে দূরে রাখার এবং নতুন কোনো যুদ্ধ শুরু না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এমনকি বিজয়ী ভাষণেও তিনি যুদ্ধ থামানোর কথা বলেছিলেন। তবে ভেনেজুয়েলার তেল রফতানি বন্ধে এবং মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধিতে তার এই কঠোর অবস্থান নতুন করে আঞ্চলিক অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি করছে।